পুলিশকে এক রকম বোকা বানিয়েই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন অণ্ণা হজারের সমর্থকরা। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে প্রথমে ছোট ছোট দলে সাত নম্বর রেস কোর্স রোডে জড়ো হন সমর্থকরা। সুযোগ বুঝে একজোট হয়ে সরকার-বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। পুলিশ ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
|
‘‘দয়া করে অনশন তুলুন। আপনার স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ছে।” অনশনরত অণ্ণাকে এই অনুরোধ করেছেন শিবসেনা প্রধান বাল ঠাকরে। ঠাকরের বক্তব্য, অণ্ণার ‘স্বাস্থ্য রক্ষার্থে’ তাঁর পরিবর্তে এ বার অনশনে বসুন কিরণ বেদী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ শিশোদিয়ারা। অণ্ণাকে লেখা এক চিঠিতে ঠাকরে এই অনুরোধ করেছেন ঠাকরে।
|
অণ্ণাকে সমর্থন করতে রামলীলা ময়দানে উপস্থিত হলেন অভিনেতা রঘুবীর যাদব। উপস্থিত জনতাকে তিনি বলেন, “পিপলি লাইভ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে খুব কাছ থেকে দুর্নীতি দেখেছি। তবে সেটা ছবি ছিল। অণ্ণার এই আন্দোলন কঠোর বাস্তব।” দেশের ‘ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে’ অণ্ণাকে সমর্থনের ডাক দেন রঘুবীর।
|
অণ্ণার আন্দোলনকে সমর্থন করতে গ্রামের নামই বদলে ফেলতে চান উত্তরপ্রদেশের রেমা গ্রামের মানুষ। তাঁদের দাবি, গ্রামের নতুন নাম হোক ‘অণ্ণা’। এই দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি দরখাস্তও জমা দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এমনকী গ্রামের প্রত্যেক অধিবাসী নিজেদের আসল নামের সঙ্গে ‘অণ্ণা’ শব্দটিও যোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গ্রামপ্রধান রেণু দেবী জানিয়েছেন, নিজেদের এবং গ্রামের নামের সঙ্গে অণ্ণার নামের উপস্থিতিই প্রমাণ করবে যে তাঁরা সবাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে।
|
পুলিশের লাঠি খেলেন অণ্ণা সমর্থকরা। অণ্ণার সমর্থনে সুরাতের গোধ-দোধ অঞ্চলে একটি মিছিল বের করেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ, জোর করে আশেপাশের দোকানগুলি জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন এঁরা। পুলিশ বহু বার বারণ করা সত্ত্বেও তারা কর্ণপাত করেননি। শেষে বাধ্য হয়েই লাঠি চালায় পুলিশ।
|
উপস্থিত জনতাকে কিছুটা অবাক করেই রামলীলা ময়দানে উপস্থিত হলেন তিস হাজারি কোর্টের দেওয়ানি বিচারক অজয় পাণ্ডে। বললেন, “এ ভাবে প্রকাশ্যে আসার ফলাফল কী হতে পারে তার পরোয়া আমি করি না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটা প্রত্যেকের অধিকার। তাই এসোছি।” হাততালির জোয়ারে ভেসে গেলেন এই ‘বেপরোয়া’ সমর্থক!
|
তিনি মুখ খুললেই হাসির ফোয়ারা ছোটে। কিন্তু গত ন’দিনে এক ফোঁটাও হাসেননি বলে রামলীলা ময়দানে জানালেন কমেডিয়ান রাজু শ্রীবাস্তব। কেন? রাজুর জবাব, “অণ্ণাকে সমর্থন করতে। একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লড়ছেন উনি। জীবনে কখনও কখনও সিরিয়াস হওয়া দরকার।” অণ্ণার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাই হাসি বন্ধ। |