সৌজন্যে ‘পরিবর্তন’।
দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক ফের স্কুলে ঢুকে ক্লাস নিচ্ছেন। ‘ভয়ে’ বেশির ভাগ শিক্ষক স্কুলে আসতে পারছেন না। লেখাপড়া কার্যত শিকেয় উঠেছে বর্ধমানের কেতুগ্রামের আমগোড়িয়া-গোপালপুর আর জি এম ইনস্টিটিউশনে। কেতুগ্রাম গত কয়েক বছর ধরেই রাজনৈতিক হানাহানির অন্যতম কেন্দ্র। এক কালে সিপিএমের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে থাকা এই বিধানসভা এলাকা এ বার তৃণমূলের দখলে। সেই সুযোগ নিয়ে মালেক রহমান নামে আমগোড়িয়ার স্কুল থেকে বরখাস্ত এক প্রধান শিক্ষক ‘দাদাগিরি’ করছেন বলে অভিযোগ। |
মাত্র চার শিক্ষক ও পাঁচ পার্শ্বশিক্ষকের উপরে নির্ভর করছে বারোশো পড়ুয়ার পড়াশোনা! পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চললেও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাসঘরই বন্ধ। বর্ধমান জেলা স্কুল পরিদর্শক আব্দুল হাইও বলেন, “মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বরখাস্ত করা সত্ত্বেও উনি গা-জোয়ারি করে স্কুলে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের ভয়ও দেখাচ্ছেন বলে শুনেছি। থানাকে জানানো হয়েছে।” বুধবার স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, মালেকের সামনে বসে তৃণমূলের কেতুগ্রাম ১ ব্লকের আমগোড়িয়া অঞ্চল সভাপতি রহিম মির্জা। তাঁর বক্তব্য, “কাগজ দেখে বুঝেছি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ওঁকে ফাঁসানো হয়েছিল।” সিপিএমের ভাগীরথী অজয় জোনাল কমিটির সদস্য ফারুক মির্জা বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ওঁকে ফাঁসানোর প্রশ্ন আসে না। উনি আমাদেরই সমর্থক ছিলেন। এখন তৃণমূলের মদতে দাদাগিরি করছেন। কাটোয়া মহকুমাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম জানান, কাল তাঁর দফতরে দু’পক্ষের বৈঠক। জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা বলেন, “শিক্ষা দফতর যা ঠিক করবে, তার ভিত্তিতেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
তবে অস্বস্তি এড়াতে পারছে না তৃণমূল। দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা কেতুগ্রামের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, “বিষয়টি ঠিক জানি না। বেআইনি কাজ দল অনুমোদন করে না। আমাদের কেউ জড়িত থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।” |