উঃবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির এক সদস্যের সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগে দুই কর্মীকে শো-কজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেন কর্তৃপক্ষ। কয়েকদিন ধরে সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও, প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় কর্মচারী সমিতি। কর্তৃপক্ষ জানান, কর্মচারী সমিতির আন্দোলনে পরীক্ষার সময় কাজের সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট দফতরে কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা সৃষ্টি করা হচ্ছিল। পরীক্ষার সময় এই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে শো-কজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মীদের যাতায়াতের জন্য দুটি বাসের বন্দোবস্ত রয়েছে। এদিন কর্মীরা একটি বাস বন্ধ করে রাখেন। শিক্ষক, পড়ুয়ারা বিপাকে পড়েন বলে জানিয়েছেন। সংগঠন সম্পাদক দেবীপ্রসাদ বুট বলেন, “কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে এ দিন আমরাও অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিয়েছি।”
|
বৈষ্ণবনগর বিশদিঘিতে বিস্ফোরণের ৭২ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার বিকেলে রেল পুলিশের কুকুর নিয়ে তল্লাশির সময়ে ঘটনাস্থলের এক কিমির মধ্যে ৩টি কবরের সন্ধান মিলল। পুলিশের অনুমান, ওই কবরের নীচে বোমা বিস্ফোরণে মৃতদের দেহ থাকতে পারে। তিনটি কবরের সামনে পুলিশ মোতায়েনকরা হয়েছে। ওই কবর খুঁড়ে মৃতদেহ বের করার জন্য জেলা পুলিশ সদর মহকুমাশাসকের কাছে একজন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে পাঠিয়েছেন জেলা পুলিশ। শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই কবর থেকে মৃতদেহ তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মালদহ রেঞ্জের ডিআইজি শশীকান্ত পূজারি বলেন, “বৈষ্ণবনগরের বিশদিঘি গ্রামের বিস্ফোরণস্থলের কাছাকাছি কয়েকটি কবরের সন্ধান মিলেছে। ওই কবরে বিস্ফোরণে মৃতদের দেহ আছে কী না তা দেখতে শুক্রবার মাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর খোঁড়া হবে।” এদিকে পুলিশ তিনটি কবরের সন্ধান পেতেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বোমা বিস্ফোরণের পর গ্রামের যে ৬ জন নিখোঁজ ছিলেন, কবরের সন্ধান মিলতেই তাঁদের পরিবারের লোকেরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন দুপুরে ডিএসপি সৈকত ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী কুকুর নিয়ে বৈষ্ণবনগরের বিশদিঘি গ্রামে ছুটে যান।
|
বাঁধের রাস্তা সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ চলছেই। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকে গোবরাহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি এলাকার ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত, স্কুল, ব্যাঙ্ক সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে তালা ঝুলিয়ে দেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতে অনির্দিষ্টকালের বন্ধ চলবে বলেও আন্দোলনকারীদের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক তরুণ সিংহরায় বলেন, “শুক্রবার দিন আন্দোলনকারীদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে।” দৌলতনগর, ইসলামপুর, ভালুকা-সহ ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষাধিক বাসিন্দার ‘জীবন রেখা’ বলা হয় ফুলহার বাঁধের রাস্তা। ৩০ কিলোমিটার রাস্তা এতটাই বেহাল যে তা যাতায়াতের অযোগ্য। গত বছর জুলাই মাসে এলাকায় টানা এক সপ্তাহ বন্ধ পালন করেন বাসিন্দারা। ওই সময় প্রশাসনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। জনজাগরণ নাগরিক মঞ্চ গড়ে বাসিন্দারা আন্দোলনে নামলেও প্রশাসন সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ না-নেওয়ায় ফের আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হয়েছেন বলে কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে। আর এবার আন্দোলনে এলাকার মহিলা, ছাত্রছাত্রী সহ-সর্বস্তরের মানুষ সামিল হয়েছেন। প্রশাসনের তরফে কার্যকরী উদ্যোগ না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে বাসিন্দারা জানান। দৌলতনগর পঞ্চায়েতের প্রধান নন্দগোপাল সিংহ বলেন, “বাসিন্দাদের যাতায়াতে বিকল্প পথ নেই। যানবাহন চললেও এখন খারাপ রাস্তার জন্য তা আর চলে না। বাসিন্দাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই চূড়ান্ত আন্দোলনে নামতে হয়েছে।
|
ট্রান্সফরমার পুড়ে ১০ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বিষ্ণুপুর। বিদ্যুৎ দফতরে বারবার আবেদন জানানোর পর ১০ দিনেও সমস্যা না মেটায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি নিজে উদ্যোগী হলেও পর্ষদের টালবাহানায় ক্ষুব্ধ চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহবুব। বিধায়ক বলেন, “পর্ষদ জানিয়েছে বিপিএলভুক্তদের সংযোগ দেওয়ায় বাড়তি চাপে ট্রান্সফরমার পুড়েছে। দুটো ট্রান্সফরমার বসিয়ে সমস্যা মেটানো সম্ভব হলেও পর্ষদ তা করতে রাজি নয়। দু’দিনে সমস্যা না মিটলে বিকল্প কিছু ভাবতে হবে।” এলাকায় হাইস্কুল, সমবায় ব্যাঙ্ক, গ্রন্থাগার রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়।
|
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মালদহের রতুয়ার সামসি সাপ্তাহিক হাটে বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম গুলাব হোসেন (৪২)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের ভৈরবপুরে। এ দিন ব্যবসার কাজে হাটে আসেন তিনি। হাটের রাস্তায় আলু বোঝাই একটি ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
|
নবম শ্রেণির ছাত্রকে বকায় শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে অবরোধ করল পড়ুয়াদের একাংশই। বৃহস্পতিবার দিনহাটার পুঁটিমারি হাই স্কুলের সামনে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ গিয়ে অবস্থা সামলায়। |