|
|
|
|
ভিড় বাস থেকে পড়ে মৃত্যু |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কোথাও বেহাল রাস্তা, যন্ত্রাংশ ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি। কোথাও যাত্রীদের মারধরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে পরিবহণ ধর্মঘট হয়। ধমর্ঘটে কোচবিহারে যাত্রী বোঝাই সরকারি বাসের পাদানি থেকে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছেন এক যাত্রী। কোচবিহারে বেহাল রাস্তা মেরামত এবং বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে জেলা জুড়ে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেয় মালিকপক্ষের যৌথমঞ্চ বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ সমন্বয় কমিটি। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ২০ শতাংশ বেশি বাস চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। জেলা সদরের সঙ্গে শিলিগুড়ি, তুফানগঞ্জ, দিনহাটা, মাথাভাঙা, কালজানি, বলরামপুর, চিলকিহাটে যাতায়াতে ভোগান্তি হয়। কোচবিহার থেকে কালজানিগামী এনবিএসটিসি’র ভিড় বাসের পাদানি থেকে পড়ে মারা গিয়েছেন রতন সূত্রধর (২৪) নামের এক যুবক। তাঁর বাড়ি কোচবিহার শহরে। সংস্থার তরফে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। বাস মালিক মঞ্চের তরফে অনুপ অধিকারী বলেন, “ওই ব্যক্তি অসতর্কতার জন্যই সম্ভবত বাস থেকে পড়ে যান। ঘটনাটি দুঃখজনক।” |
 |
ছবি: সন্দীপ পাল। |
যৌথ সংগ্রাম কমিটির ডাকা ধমর্ঘটের জেরে জলপাইগুড়ি থেকে ডুয়ার্স, শিলিগুড়ি ও হলদিবাড়ি কোনও পথে বাস চলাচল করেনি। বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। জেলা সদর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী অটোর পারমিট দেওয়া বন্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক গৌরব চক্রবর্ত্তী বলেন, “তিস্তা ও জলঢাকা সেতু বেহাল। ঝুঁকি নিয়ে সকলকে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রশাসন নির্বিকার। তেল থেকে শুরু করে বাসের যন্ত্রাংশ, সব কিছুরই দাম বেড়ে চলেছে।” অন্য দিকে, এক যাত্রীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রেকার কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আচমকা দক্ষিণ দিনাজপুর জুড়ে সমস্ত বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় ট্রেকার কর্মীরা। সকাল থেকে বালুরঘাটের পুর বাসস্ট্যান্ডে বাস শ্রমিক সংগঠনের সদস্য বলে পরিচিত একাংশ মোটর শ্রমিক গায়ের জোর করে সমস্ত রুটের বাস, মিনিবাস, ম্যাক্সিট্যাক্সি, ট্রেকার সহ-যাবতীয় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে যাত্রী এবং বাস মালিকদের মধ্যে। বাসমালিক সংগঠনের তরফে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করে যাত্রীযান চালাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ দাবি করা হয়। বিকাল ৩ টা থেকে বাসস্ট্যান্ডে পুলিশি প্রহরায় বাস চলাচল শুরু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় বালুরঘাট থেকে হিলি যাওয়ার পথে তিওড় এলাকায় গাড়ির আসনে বসা নিয়ে বচসায় ট্রেকারের কর্মী গোপাল রবিদাস ৫৪ বছরের যাত্রী শান্তনু লাহাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে রাতে তিওড় এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেন। হিলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রহৃত শান্তনুবাবু। পুলিশ এ দিন অভিযুক্ত ট্রেকার কর্মীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়ে দিলে প্রতিবাদে নামে ট্রেকার কর্মীরা। ইউটিইউসি ভুক্ত বাস শ্রমিক সংগঠনের জেলা সম্পাদক মানস বসু বলেন, “এটা শ্রমিকদের বিষয়। তাঁরাই আন্দোলনে নেমে বাস চালানো বন্ধ করেন। কর্মীদের নিরাপত্তার খাতিরে আন্দোলন সমর্থন করা হয়েছে।” সিটু নেতা দেবাশিস চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “আচমকা ধর্মঘট ডেকে যাত্রী হররানির এই আন্দোলন সমর্থন করি না।” পরিবহণ আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ তালুকদার বলেন, “বিষয়টি জানার পর মহকুমাশাসককে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম।” |
|
|
 |
|
|