বাসরার তোড়ে নিশ্চিহ্ন সেতু সংযোগকারী রাস্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
জলের তোড়ে ভেঙে গেল অস্থায়ী বাসরা সেতুর সংযোগকারী রাস্তা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জে। ওই রাস্তা জলের তোড়ে উড়ে যাওয়ায় জয়ঁগা-ওল্ড হাসিমারা থেকে হ্যামিল্টনগঞ্জ ও কালচিনি রুটে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বহু মানুষ ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন। কালচিনি পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি অতুল সুব্বা বলেন, “ভোর থেকে হ্যামিল্টনগঞ্জের বাসিন্দারা লক্ষ করেন গত বছর জলের তোড়ে উড়ে যাওয়া বাসরা সেতুর পাশে অস্থায়ী সেতুর সংযোগকারী প্রায় ত্রিশ মিটার রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। বিপাকে কয়েক হাজার বাসিন্দা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জয়ঁগা-ওল্ড হাসিমারা-হ্যামিল্টনগঞ্জ-কালচিনির গাড়ি চলাচল। দুপুরের দিকে বাসরা নদীর জল কমায় অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে নদী পার করছেন। অবিলম্বে অস্থায়ী সেতুটির সংযোগকারী রাস্তা মেরামতির জন্য পুর্ত দফতরকে জানিয়েছি।” |
|
ছবি তুলেছেন নারায়ণ দে। |
গত বছর বাসরা সেতুটি ভাঙার পর পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে অস্থায়ী সেতুর দৈর্ঘ্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতির অভিযোগ সেতুর দৈর্ঘ্য কম থাকায় নদীতে অল্প জল বাড়াতেই সংযোগকারী রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। নদীর জল আরও বাড়লে অস্থায়ী সেতুও উড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা। পুর্ত দফতরের আলিপুরদুয়ার মহকুমার কাযর্নিবাহী বাস্তুকার তাপস সাহা বলেন, “বাসরা নদীর সেতুটির সংযোগকারী রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। ওই রাস্তা মেরামতির জন্য ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। জল যাওয়ার জন্য ওই এলাকায় হিউম পাইপ দিয়ে সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করা যাবে না। জল বাড়লে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পরে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।” এদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসরা নদীর হেঁটে পার হতে দেখা যায় মহিলা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলকেই। জয়ঁগা থেকে হ্যামিল্টনগঞ্জে চিকিৎসক দেখাতে আসা চন্দ্র লাকমি বলেন, “সেতুর রাস্তা ভাঙা থাকায় নদীতে প্রচন্ড স্রোত থাকা সত্বেও বাধ্য হয়েই হেঁটে পার হলাম।” চুয়াপাড়া চা বাগানের বাসিন্দা পুনি লোহার মধু চা বাগানে মেয়ের বাড়িও যাবেন বলে একই ভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হন। তৃণমূলের কালচিনি ব্লক সম্পাদক রণজিৎ ঘোষ বলেন, “বাসরা নদীর অস্থায়ী সেতুর কাজও ঠিকমতো করা হয়নি। সেই জন্যই এ বার এই অবস্থা। পূর্তমন্ত্রীকে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে মূল সেতুর কাজ শেষ করার আর্জি জানানো হবে।” |
|