|
|
|
|
ব্যাঙ্কে বৈঠক করলেন সমবায়মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
নিয়মমাফিক ‘সিকিউরিটি’ জমা না-রেখেই ঋণ দেওয়া হয়েছে। সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে এর উত্তর জানতে চাইলেন সমবায় মন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি। সরকারি সফরের তালিকায় না-থাকলেও বৃহস্পতিবার বিধায়ক খগেশ্বর রায়কে সঙ্গে নিয়ে তিনি জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে যান। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আধ ঘণ্টা রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। ব্যাঙ্ক পরিদর্শনের সময় বিভিন্ন কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে তাদের যোগ্যতা ও কাজ নিয়েও প্রশ্ন করেন সমবায় মন্ত্রী। এ দিন জলপাইগুড়ি সফরে এসে প্রথমে জেলার বিভিন্ন সমবায় কর্তাদের সঙ্গে সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন তিনি। সন্ধ্যায় সমাজপাড়ায় তৃণমুল কার্যালয়ে যান তিনি। ৩৪ বছরের বাম শাসনে রাজ্যের বেশির ভাগ সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লক দখল করে রেখেছিল বলে অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি বিগত বাম সরকার বিদায়ের আগে সমবায় নিয়ে যে আইন পাশ করে গিয়েছিল তা রদবদল করা সম্ভব হয় কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শপথ নেওয়ার পর থেকে রাজ্যের নতুন সরকারের কাছে বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্কের কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। সব অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে কোনও সমবায় ব্যাঙ্কের কাজকর্মে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করবে না বলেও মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি মন্ত্রী বলেন, “এক মাসে রাজ্যের বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্ক নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার কয়েকটি সমবায় ব্যাঙ্কের নামও রয়েছে। যে ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েছে, সব ক্ষেত্রেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” যে কোনও সমবায় ব্যাঙ্ক নিয়ে অভিয়োগ থাকলে তা নির্দিষ্ট ভাবে জমা দিতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বাম শাসনে সমবায় ক্ষেত্রগুলি অবাধ অনিয়মের জায়গা হয়ে গিয়েছিল বলে মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন। সমবায় ব্যাঙ্ক বা সমিতিগুলি যাতে হাতছাড়া না হয়ে যায় তার জন্য বামফ্রন্ট সরকার বিদায়ের আগে রক্ষাকবচ তৈরি করে গিয়েছে বলেও মন্ত্রী মনে করেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার আইন করে সমবায় ক্ষেত্রগুলিতে সরকার মনোনীত প্রতিনিধির সংখ্যা কমিয়ে এক এবং সমবায় ব্যাঙ্কগুলির কার্যকালের মেয়াদ তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। এই আইনের ফলে নতুন সরকারের পক্ষে সমবায় ব্যাঙ্কগুলির কাজকর্মে ততটা হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয় বলে সমবায় দফতর মনে করছে। এদিন সমবায় মন্ত্রী বলেন, “সাধারণ রাজ্যবাসীর কোটি কোটি টাকা এই ব্যাঙ্কগুলির কাছে জমা রয়েছে। কোনও ভাবেই অনিয়ম চালিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। সমবায় আইনে পরিবর্তন করা যায় কি না তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। তবে অকারণে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোনও ব্যাঙ্কের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করা বা বোর্ড ভেঙে দেওয়ার প্রশ্নই নেই।” |
|
|
|
|
|