|
|
|
|
বর্গা-পাট্টাদারের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা সিপিএমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বর্গাদার ও পাট্টাদারদের জমি কেড়ে নেওয়া কী করে প্রতিরোধ করা যায়, তা নিয়ে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব চিন্তিত। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, এর বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে প্রচার ও জমায়েত করা হবে। প্রয়োজনে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। রাজ্য জুড়ে এ দিনই ‘হাড়োয়া দিবস’ পালন করা হয়েছে। শনি ও রবিবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক। সেখানেও বিশদে আলোচনা হবে।
রাজ্য কমিটির আসন্ন বৈঠকে বিধানসভা নির্বাচনের পরাজয়ের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই পরাজয়ের কারণ নিয়ে বিভিন্ন জেলা কমিটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে আলিমুদ্দিনে। সেই রিপোর্ট নিয়ে এ দিন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে বিস্তারিত আলোচনার পরে ‘নোট’ তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য কমিটির বৈঠকে সেই ‘নোটে’র উপরে জেলার নেতারা আলোচনা করবেন।
জুন মাসে হায়দরাবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বশেষ বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল, পরাজয়ের কারণ নিয়ে জেলা থেকে আরও বিশদ তথ্য নিয়ে রাজ্য কমিটি সবিস্তার ‘নোট’ তৈরি করবে। সেইমতোই এ দিন দু’বেলা বৈঠকে বসেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসুরা। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসক গোষ্ঠী, বিশেষত তৃণমূলের আক্রমণের হাত থেকে কর্মীদের রক্ষা করা। বৈঠকে সব নেতাই এ ব্যাপারে একমত হন। সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, বিধানসভার ভোটে বিরোধীদের ‘পরিবর্তনে’র স্লোগান মানুষ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু সেই ‘পরিবর্তন’ গ্রামের বর্গাদার ও পাট্টাদারদের একাংশের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে বলে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব মনে করছেন। হাড়োয়ার ঘটনার পরে সেই ভয় আরও বেড়েছে। আগামী দিনে সে কথাই মানুষের কাছে তুলে ধরতে চায় সিপিএম। |
|
|
|
|
|