টুকরো খবর
|
আমন্ত্রণ মীরা কুমারকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যের বিধায়কদের প্রশিক্ষণ শিবিরে আসার জন্য লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮-৯ অগস্ট বিধায়কদের প্রশিক্ষণ শিবির হবে। স্পিকার জানান, ১০ অগস্ট বিধানসভার পূর্ণাঙ্গ বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। তার আগেই বিধায়কদের সংসদীয় রীতিনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই শিবিরেই লোকসভার স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিধানসভার স্পিকার বলেন, “স্পিকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি আসার চেষ্টা করবেন।” বিধায়কদের নিয়ম শেখাতে সংসদে একটি বিশেষ প্রশিক্ষক দল আছে। মীরা সেই দলের দুই সদস্যকে বিধায়কদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পাঠাবেন বলে বিধানসভার স্পিকার জানান। তিনি বলেন, “নতুনদের প্রশিক্ষণের জন্য এই শিবির প্রতি বারই হয়। এ বার নতুন বিধায়কের সংখ্যা বেশি। সেই কারণে ওই শিবিরের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
|
মমতা-প্রণব বৈঠক কাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে আগামী শনিবার কলকাতা যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রের কাছ থেকে বিশেষ আর্থিক সাহায্যের জন্য দরবার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা পাওয়ার জন্য রাজ্যের সামনে একাধিক শর্ত রেখেছে কেন্দ্র। যার সবক’টি এখনই মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না রাজ্যের। এই টানাপোড়েনের ফলে কেন্দ্রের সাহায্য আটকে রয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহেই প্রণববাবুকে ফোন করে মমতা জানান, প্রশাসনিক বিলম্বের ফলে আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি আটকে থাকায় রাজ্যের অসুবিধা হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে এখনই কেন্দ্রীয় সাহায্য না পেলে নভেম্বরে ট্রেজারি বন্ধ করে দিতে হবে। সমস্যা মেটাতে গত শনিবারই কলকাতা যাওয়ার কথা ছিল প্রণববাবুর। কিন্তু মন্ত্রিসভায় রদবদল এবং ডিএমকে নেতা দয়ানিধি মারানের ইস্তফার কারণে চেন্নাই চলে যেতে হয় তাঁকে। আপাতত ঠিক হয়েছে, আগামী শনিবার বৈঠক করতে কলকাতা যাবেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
|
পরীক্ষা বিলুপ্তির কড়া বিরোধিতায় এসইউসি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল তুলে দেওয়া এবং পরীক্ষা ব্যবস্থা ‘ঐচ্ছিক’ করার যে প্রস্তাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভাবছে, তার তীব্র বিরোধিতা করল তৃণমূল নেত্রীর একদা জোটসঙ্গী এসইউসি। প্রাথমিকে ইংরেজি তুলে দেওয়ার প্রতিবাদ-সহ শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা আন্দোলনের ইতিহাস সংবলিত এসইউসি-র বক্তব্য, নতুন রাজ্য সরকার শিক্ষার উপরে বিগত বামফ্রন্ট সরকারের আক্রমণেরই ‘পরিবর্ধিত পদক্ষেপ’ করতে চাইছে! মতাদর্শগত ভাবে এসইউসি-র থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থানের দল বিজেপি-ও মমতার সরকারের এ প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এসইউসি-র রাজ্য কমিটিতে নতুন সরকারের নানা পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার পরে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পূর্বতন সিপিএম সরকার চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত চালু করেছিল সর্বনাশা অবাধ প্রোমোশন নীতি, যাকে আরও প্রসারিত করে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেওয়ার দিকেও তারা এগোচ্ছিল। প্রয়োজন ছিল এই সর্বনাশা নীতি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার। কিন্তু তা না-করে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির দোহাই দিয়ে নতুন শিক্ষামন্ত্রী যে সর্বনাশা প্রস্তাব করেছেন, তা উদ্বেগজনক’। এসইউসি-র মতে, কেন্দ্র ও পূর্বতন সিপিএম সরকারের ‘পদাঙ্ক অনুসরণ’ করে নতুন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ রাজ্যের জনগণের ‘প্রত্যাশাবিরোধী’। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের ভয়ের জন্য পরীক্ষা তুলে দিলে তো সব স্তরে সব পরীক্ষাই তুলে দিতে হয়!”
|
মমতাকে চিঠি ইউটিইউসি-র
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শিল্পায়নের নামে শ্রমিক স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছে বামফ্রন্ট সরকার। কার্যত এ রকমই অভিযোগ এনেছে ওই সরকারেরই শরিক আরএসপির শ্রমিক সংগঠন ইউটিইউসি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক চিঠিতে ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ অভিযোগ করেন, “বিগত সরকার মালিকদের বন্ধু হতে গিয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ অবহেলা করেছে।” এর যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে দিকে নজর রাখার জন্য মমতার কাছে আর্জি জানান অশোকবাবু।
|
চটকল নীতি তৈরি করার ভাবনা রাজ্যের |
শুধু শ্রমিক সমস্যাই মেটানোই নয়, চটকলগুলির সার্বিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার ‘চটকল নীতি’ তৈরি করতে চায়। এ ব্যাপারে শিল্প দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বৃহস্পতিবার মহাকরণে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের চটকল নীতি রয়েছে। সেই আদলেই রাজ্যেও একটি চটকল নীতি জরুরি।” এ দিন রাজ্যের বন্ধ চটকল অবিলম্বে খোলা, শ্রমিকদের বকেয়া পিএফ, গ্র্যাচুইটি ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে এআইটিইউসি অনুমোদিত ‘ফেডারেশন অফ চটকল মজদুর ইউনিয়ন’-এর প্রতিনিধিরা শ্রমমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন। সংগঠনের দাবি, বন্ধ চটকলগুলির সঙ্গে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক জড়িত। এগুলি খোলার ব্যাপারে রাজ্য সরকার অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক। পাশাপাশি, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া, পাওনা এবং নানা সমস্যার প্রতিকারে রাজ্য সরকার ‘অনুসন্ধান ও শ্রমিক অভিযোগ কেন্দ্র’ গড়ে তুলছে। আপাতত মহাকরণে একটি এবং নব-মহাকরণে আর একটি কেন্দ্র খোলা হবে। এর পরেই জেলাগুলিতেও শ্রমিকদের চেতনা বাড়ানোর কাজ চালাবে এই সব কেন্দ্র। |
|