প্রায় এক বছর ধরে বার্ধক্য ভাতা না পাওয়ায় বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিডিও-র অফিসে সামনে এ ঘটনা সামাল দিতে নামে ব্লক প্রশাসন। এ দিন দুপুর ১১টা নাগাদ সান্ডেলের বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকনা গ্রাম থেকে বৃদ্ধা-বৃদ্ধারা মিছিল করে বিডিও-র দফতরে আসেন। ৬০ থেকে ৯০ বছর বয়সের এতোগুলি মানুষকে একসঙ্গে দেখে দফতরের কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন ওঠে। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, মাসে চারশো টাকা করে ছ’মাস অন্তর টাকা দেওয়া হত। গ্রামে প্রায় ১৭০ জন এক বছর ধরে কোনও ভাতা পাচ্ছেন না। পঁচাত্তর বছরের সুধীর ঋষি বলেন, “বয়স হয়েছে বলে খাটতে পারি না। তাই কাজ নেই। দু’বেলা খাওয়া জোটে না। গত আষাঢ় মাসের পর আর কোনও বার্ধক্য ভাতা পাইনি।” তিয়াত্তর বছরের বীরেন্দ্র মণ্ডল বলেন, “এক সময়ে জঙ্গলে গিয়ে মাছ ধরে কোনও রকমে সংসার চলত। বয়স হওয়ায় সেই কাজ করতে পারি না। এক বছর হচ্ছে ভাতা না পাওয়ায় মরতে বসেছি। বহুবার জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। চরম অভাবে শাকপাতা সেদ্ধ করে খেয়ে বেঁচে আছি।” সান্ডেলের বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহিদুল গাজি বলেন, “পঞ্চায়েত এলাকাতে দু’শোর উপরে মানুষ বার্ধক্য ভাতা পান। ব্লক প্রশাসনের খামখেয়ালি আচরণ এ জন্য দায়ি। অসহায় বৃদ্ধদের কেবল হয়রানি হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষ বিডিও-র দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। দ্রুত টাকা না পেলে আমরা বাধ্য হব আন্দোলনে যেতে।” বিডিও ইন্দ্রকুমার নস্কর বলেন, “পোস্ট অফিসে যাঁরা পাস বই করেছেন কিছু কাগজপত্রের অসুবিধার জন্য তাঁদের বার্ধক্য ভাতা পেতে দেরি হচ্ছে। দ্রুত যাতে তাঁরা ভাতা পান সে জন্য সংশ্লিষ্ঠ দফতরকে বলা হয়েছে।”
|
পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল বাসিন্দারা। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার নেরুলি হাটখোলায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভেবিয়া গ্রামে বাড়ি আমেনা খাতুন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময়ে চার যুবক তাকে একটি গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। চৈতল এলাকার একটি মেছোভেড়ির আলাঘরে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সেখান থেকে সে কোনও রকমে বাড়ি ফিরে সকলকে জানায়। পরে নেরুলি বাজার এলাকায় এক জনকে সে সনাক্ত করে। জনতা মারধরের পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধৃতের বাড়ি ভদ্রেশ্বরে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
|
জেলা পরিষদের কাজকর্ম স্বাভাবিক করতে এ বার সমন্বয় সমিতি গঠন করা হল উত্তর ২৪ পরগনায়। ওই সমন্বয় সমিতি যাতে কাজ করতে পারে তার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমোদন চেয়েও পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন। রাজ্য সরকার অনুমোদন দিলে ওই সমন্বয় সমিতি কাজ করতে পারবে। জেলাশাসক বিনোদকুমার বলেন, “জেলা পরিষদের আইনেই রয়েছে, স্থায়ী সমিতি থাকা সত্ত্বেও কাজে অসুবিধা হলে রাজ্য সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে অতিরিক্ত আর একটি সমিতি গড়া যাবে। এ দিন সেই সমিতিই গঠিত হয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য তা পাঠানোও হয়েছে।” তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক ও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “ওই সমন্বয় কমিটি সমস্ত কাজকর্ম দেখভাল করবে। জেলার অনুন্নত এলাকাগুলিতে আরও বেশি নজর দেবে নতুন এই সমিতি।”
|
একটি মোটরবাইকে করে যাচ্ছিলেন তিন জন। সেই সময় একটি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানায় মৃতের নাম মন্টু বিশ্বাস (২০)। তাঁর দুই সঙ্গীকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের গড়য়া গ্রামে, বারাসত-টাকি রোডের উপরে। বারাসতের দোলতলার গঙ্গানগরের বাসিন্দা মন্টুবাবু বন্ধুদের নিয়ে বুধবার বসিরহাটে কচুয়া গ্রামের লোকনাথ মন্দিরে ঘুরতে যান। পরদিন সকালে বাড়ি ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাক চালকের খোঁজ চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
|
স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীই দিতে পারল না বামেরা। বাগদার হেলেঞ্চা হাইস্কুলে বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ছ’টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পাঁচটি’তে এবং কংগ্রেস একটিতে মনোনয়ন জমা দেয়। তৃণমূলের শিক্ষা সেলের বাগদা ব্লক সভাপতি অঘোরচন্দ্র হালদার বলেন, “স্কুলের পঠনপাঠনের উন্নতিতে আমাদের ভূমিকা এবং হার নিশ্চিত জেনেই সিপিএম মনোনয়ন জমা দেয়নি।” সিপিএম নেতা সঞ্জয় দত্ত চৌধুরী বলেন, “ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি থাকায় এবং নির্বাচনী প্রস্তুতির সময় না পাওয়ায় আমরা মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি।”
|
তৃণমূূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সদস্যদের সঙ্গে বহিরাগত কিছু যুবকের ধাক্কাধাক্কি ও মারামারির ঘটনায় বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়ায় অশোকনগরের হরিপুর নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে। মারামারিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক সদস্য জখম হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। |