বাস ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব দুই ২৪ পরগনায় |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ভাড়া বানানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে ডাকা বাস-মিনিবাস-ট্যাক্সি ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়ল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। দুই জেলাতেই কয়েকটি মহকুমা বাস চলাচল আর পাঁচটা দিনের স্বাভাবিক থাকলেও কয়েকটি মহকুমার বাসিন্দাদের অবশ্য এই ধর্মঘটের জেরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
|
|
ক্যানিং বাস-চিত্র। বৃহস্পতিবারের নিজস্ব চিত্র। |
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমায় এ দিন ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব দেখা গিয়েছে। পেট্রাপোল থেকে কলকাতাগামী বেসরকারি পরবহণ সংস্থাগুলির বাসগুলি অন্যদিনের মতোই চলাচল করেছে। স্বাভাবিক ছিল বনগাঁ-বাগদা মধ্যে পাঁচটি রুটের বাস চলাচলও। তবে বাগদা থেক দিঘা এবং বাগদার দত্তফুলিয়া থেকে আলমপুর রুটের বাস এ দিন বন্ধ ছিল। চলেনি বনগাঁ-দক্ষিণেশ্বর রুটের বাসও। এ দিন যশোহর রোডে বহু যাত্রীকেই দেখা গিয়েছে বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে। না পেয়ে অনেকেই অটো, ম্যাটাডর বা ট্রেকারে গন্তব্যে রওনা হন। বসিরহাট মহকুমায় কলকাতাগামী বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও যাত্রীদের অনেকেই ট্রেনে আসাযাওয়া করেন। |
|
বনগাঁ মহকুমার বাস-চিত্র। বৃহস্পতিবারের নিজস্ব চিত্র। |
অনেকে আবাক দিনটিকে ছুটির দিন ভেবে বাড়ি থেকেই বের হননি। সংখ্যায় কম হলেও বসিরহাট তেকে বাদুড়িয়া, মালঞ্চ, চৈতল, বনগাঁ, স্বরূপনগর পর্যন্ত এ দিন বাস চলেছে। তবে বেশ কিছু জায়গায় বাসের জন্য যাত্রীদের কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে। সন্দেশখালির সেহেরা থেকে এসেছিলেন কাকলি মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুনীতা। তাঁদের গন্তব্য ছিল কলকাতার শ্যামবাজার। বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্ষুব্ধ কাকলিদেবী বলেন, “কিছু হলেই সবকিছু বন্ধ করার ডাক দেওয়া হয়। আমাদের কথা কেউ ভাবে না। আসলে এক শ্রেণির সুবিধাবাদী মানুষ আছেন যাঁরা নিজেরা ক্ষমতায় না থাকলে এ সব নিয়ে রে রে করে ওঠেন। আবার ক্ষমতায় এসে এটাকেই ন্যায় বলে মনে করেন।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং এবং ডায়মন্ড হারবার মহকুমাতেই এই ধর্মঘটকে ঘিরে বিপরীত চিত্র দেখা গিয়েছে। এদিন ক্যানিং থেকে বারুইপুর রুটের বাস, বাসন্তী-কলকাতা রুটের বাস বন্ধ ছিল। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় মানুষকে। অনেকে নিরুপায় হয়ে ট্রেনে যাওয়া-আসা করেন। অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপে বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। |
|