জামিনের শুনানি হল না পায়েলদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
স্বামী, শাশুড়ি এ দেওরকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ধৃত বধূ পায়েল সাহা ও পায়েলের বাবা গোপাল সাহার জামিনের আবেদনের শুনানি হল না বৃহস্পতিবার। গত ৩০ জুন স্বামী সঞ্জয়, শাশুড়ি মৃদুলা এবং দেওর সমরেশের দেহ উদ্ধার করা হয় নবদ্বীপের পোড়া মা তলায় তাঁদের বাড়ি থেকে। ওই তিন জনেই তাঁদের সুইসাইড নোটে পায়েল সাহার বিরুদ্ধে তাঁদের মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ করেন। তারপরেই পায়েল ও তাঁর গোপাল সাহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১ জুলাই নবদ্বীপের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তাঁদের দু’জনকে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। |
|
বৃহস্পতিবার নবদ্বীপ কোর্ট চত্বরে গোপাল সাহা। |
সেই মতো বৃহস্পতিবার ছিল তাঁদের আদালতে হাজির করানোর দিন। তাঁদের সেখানে নিয়েও আসা হয়। কিন্তু শুনানি সম্ভব হয়নি। সরকারি আইনজীবী নব্যেন্দু মণ্ডল বলেন, “ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে জেলা জজের উচ্চতর আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। তা সেখানে নাকচ হয়ে যায়। কিন্তু মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এ দিন নবদ্বীপ আদালতে এসে না পৌঁছনোয় শুনানি হতে পারেনি। আগামী ২৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।” |
|
কোর্ট চত্বরে পায়েল সাহা। |
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সতীশ দেবনাথের কথায়, “বৃহস্পতিবারও আমরা জামিনের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু জেলা আদালত থেকে মামলার মূল নথিপত্র এসে না পৌঁছনোয় শুনানি হতে পারেনি। তবে নথিপত্র এসে গেলেই আমরা আবার জামিনের আবেদন করব।”
এই দিন আদালতে গোপালবাবু বলেন, “বিনা অপরাধে এই শাস্তি পেতে হচ্ছে।” পায়েল অবশ্য কোনও কথা বলেননি। তাঁর দুই সন্তানকে বালেশ্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে। পায়েলের শ্বশুরমশায় পবিত্ররঞ্জন সাহা নবদ্বীপের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। |
নিজস্ব চিত্র। |
|