টুকরো খবর
|
নিয়োগ নিয়ে ‘দুর্নীতি’, শিক্ষককে পেটাল তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণগঞ্জ |
পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র দায় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের উপরে চাপানোই নয়, ‘অপরাধের উচিত শিক্ষা’ দিতে তাঁকে বেধড়ক পেটাল কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। গুরুতর জখম দিগম্বরপুর প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষক অমল বিশ্বাসকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার চার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই শিক্ষকের ছেলে দেবাশিসবাবু। অমলবাবু সিপিএমের প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ-র সদস্য। ক্ষমতা দখলের পরে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা প্রায়ই তাঁকে ‘হুমকি’ দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন এবিপিটিএ-র স্থানীয় নেতা নারায়ণ ঘোষ। তিনি বলেন, “ওই স্কুলে পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগরে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন ধরেই জুলুমবাজি শুরু করেছিল তৃণমূল। অমলবাবুকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তিনি রাজি না হওয়াতেই এই বিপত্তি।” তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক সভাপতি কল্যাণ চক্রবর্তী অবশ্য ওই ঘটনায় লজ্জিত। তিনি বলেন, “অমলবাবুকে যাঁরা মারধর করেছেন তাঁরা আমাদের দলের কর্মী বলে জানতে পেরেছি। এটা কখনওই কাম্য নয়। পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কোনওরকম দুর্নীতি হয়ে থাকলেও তার দায় ওই দলীয় কর্মীদের নিতে কে বলেছে?” এদিন দেবাশিসবাবু বলেন, “পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বাবাকে অনেক দিন ধরেই শাসানো হচ্ছিল। এ দিন বাবাকে মারধর করা হচ্ছে শুনে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছেন তিনি।”
|
দেখলাম ভাঙা আলমারিতে তালা ঝুলছে, বললেন সাক্ষী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • করিমপুর |
করিমপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে খুন ও ডাকাতির ঘটনায় বৃহস্পতিবার তেহট্ট ফাস্ট ট্রাক আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন করিমপুরের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তৎকালীন সিনিয়র ম্যানেজার নূরসিংহ রথ। সরকার পক্ষের আইনজীবী অনিকেত জোয়ারদারের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “১৭ নভেম্বর ২০০৯ পুলিশ আমাকে করিমপুর থানায় ডেকে পাঠায়। সেদিন আবার আমাকে ব্যাঙ্কের করিমপুর শাখায় নিয়ে যায়। ব্যাঙ্কের স্ট্রংরুমে ঢুকে দেখি দরজার ছিটকিনি ভাঙা, আলমারি খোলা এবং ভাঙা। আলমারিতে এক গোছা চাবি ঝুলছে। ব্যাঙ্কটি যেহেতু ভাড়া বাড়িতে তাই পুলিশ অফিসার ওই দিন লিজের চুক্তি দেখতে চেয়েছিলেন। আমি দেখিয়েছিলাম। এরপরে পুলিশ আর এক দিন আমাকে ডেকে পাঠান। সেখানে তাঁরা মৃত ব্যাঙ্ক কর্মীদের ছবি দেখালে, আমি সেই ছবিগুলি সনাক্ত করি। এরপরে ২৭ জানুয়ারি ২০১০ তদন্তকারী অফিসার ব্যাঙ্কে আসেন। সেদিন তাপস ঘোষালের ঋণ সংক্রান্ত কাগজপত্র ও অন্য নথিপত্র চান। আমি সেগুলি তাঁকে দিয়েছিলাম।”
|
ছাত্রদের দাবিতে রইলেন শিক্ষক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
প্রথমে চিঠি লিখে আবেদন, তার পরে অনুনয় বিনয়। কিন্তু তাতেও স্কুলের প্রধানশিক্ষক জ্যোতির্ময় ঘোষ চলে যেতে চেয়েছিলেন অন্য স্কুলে। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনেই নামল চাপড়া থানার শিমুলিয়া হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার প্রধানশিক্ষক স্কুলে ঢোকার পর থেকেই বাইরে মাইক বেঁধে স্লোগান দিতে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুলের পঠনপাঠন। ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল, যত দিন প্রধানশিক্ষক স্কুলে থেকে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত না বদলাচ্ছেন, তত দিন পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রাজু মণ্ডল, রানা মণ্ডল বলেন, “প্রধানশিক্ষক আমাদের স্কুল ছেড়ে যেতে চাইছেন। কিন্তু তা আমরা হতে দেব না। কারণ, তিনিই এই স্কুলকে অনেক কষ্ট করে এখন একটা ভাল জায়গায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি চলে গেলে স্কুল আবার পুরনো জায়গায় ফিরে যাবে।” জ্যোতির্ময়বাবুর বাড়ি কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়ায়। ২০০২ সালে এই স্কুল যোগ দেন। তারপর থেকেই এই স্কুলের মানের উন্নতি হতে থাকে। এখন ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা একুশশো। ওই স্কুলের শিক্ষক নিত্যানন্দ সাহা বলেন, “স্কুলের উন্নতি করার জন্য জ্যোতির্ময়বাবুকে দুর্নীতির সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছে।” জ্যোতির্ময়বাবুর বক্তব্য, “স্কুলের উন্নতির জন্য অনেক অপ্রিয় কাজ করতে হয়েছে। আমি আর তা করতে চাই না। তা ছাড়া, অন্য একটি নামী স্কুলে চাকরি পেয়েছি। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দাবিই কোনও শিক্ষকের কাছে শেষ কথা। তাই আমি এই স্কুলেই থেকে যাব।”
|
ধর্ষণের নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
এক তরুণী গণধর্ষিতা হয়েছেন বলে তাঁর মায়ের দাবি। সেই তরুণীকে মঙ্গলবার ভোররাতে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়। তারপর থেকে সেই হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে রক্ত নেই বলে শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দুই যুবক ওই তরুণীকে রক্তও দিয়েছেন হাসপাতালে গিয়ে। কিন্তু এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। ওই হাসপাতালের সুপার শাশ্বত মণ্ডল বলেন, “বুধবারেই আমি পুলিশকে সব কথা ফোনে জানিয়েছি। কিন্তু ওই মহিলার এখনও পুরোপুরি সংজ্ঞা না ফেরায়, বিস্তারিত কিছুই জানাতে পারেননি। তাই আমরাও সব কথা জানাতে পারিনি এখনও।” কিন্তু তারপরেও পুলিশ কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি? রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি সুধারঞ্জন সরকার বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ না করায় এফআইআর রুজু করা যায়নি।” ওই মহিলার মা বলেন, “মেয়ের শরীরের এই অবস্থা। এখন পুলিশের কাছে যাওয়ার ও অভিযোগ করার সময় পাইনি।” জঙ্গিপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আনন্দ রায় বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতেও হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে অভিযোগ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইসি’কে। তারপরেই অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু হবে।”
|
কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল |
তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের শতাধিক নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জলঙ্গিতে তৃণমূলের সভায় পূর্ত দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা ও জলঙ্গির তৃণমূল প্রার্থী ইদ্রিশ আলির উপস্থিতিতে কংগ্রেস কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে আছেন জলঙ্গি ব্লক কংগ্রেসের মহিলা নেত্রী অর্পিতা পাণ্ডা, জলঙ্গির আইএনটিইউসি’র সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এবং রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জয়নাল আবেদিন-সহ বেশ কিছু কংগ্রেস নেতা। সুব্রতবাবু বলেন, “মানুষের আস্থা অর্জন করেছে তৃণমূল। তাই মানুষ রাজ্যে ক্ষমতায় এনেছে তৃণমূলকে। শুধু জলঙ্গি না গোটা রাজ্যে প্রতিদিন মানুষ আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন।” জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “তৃণমূল এই জেলায় প্রথম থেকেই সিপিএমকে বিভিন্ন ভাবে সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। তবে জেলায় বিভিন্ন নির্বাচনে এমনকি স্কুল নির্বাচনেও মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখান করেছে। জেলার মানুষ বিষয়টি ভাল ভাবে নেবে না।”
|
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু মা-মেয়ের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
লাইন পার হওয়ার সময় পড়ে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা মা। ওই লাইনেই তখন ছুটে আসছে কৃষ্ণনগরগামী লালগোলা প্যাসেঞ্জার। মাকে লাইন থেকে টেনে তুলতে যান নাকাশিপাড়ার পুরনো ভোলাডাঙার বাসিন্দা সুমিত্রা বিশ্বাস (৪৫)। শেষ রক্ষা হয়নি। ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মা-মেয়ের। ঘটনাটি নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি স্টেশনের। শনিবার সুমিত্রাদেবীর ছেলের বিয়ে। বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিপুরের বাসিন্দা সুভদ্রা সরকারকে (৬৫) নিয়ে ছেলের বিয়ের কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে তৃপ্তি শীল ও তাঁর তিন বছরের ছেলে রাজ। স্টেশন মাস্টার রবীন্দ্রনাথ বালা বলেন, “ওই পরিবার রেললাইন পার হয়ে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে উঠছিলেন। তৃপ্তিদেবী ছেলেকে নিয়ে প্ল্যাটফর্মে উঠে গেলেও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে লাইনে পড়ে যান সুভদ্রাদেবী। তাঁকে তুলতে গিয়েছিলেন মেয়ে। ট্রেনের ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু হয়।”
|
ডুবে মৃত ৩ শিশু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল |
জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিন বছরের মেয়ে কেয়াকে ঘরে রেখে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন ডোমকল থানার ভগীরথপুরের বাসিন্দা কবিতা হালদার। সেই সময় বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। ভৈরব নদীর পাড়েই বাড়ি। খেলতে খেলতে এ দিন নদীর পাড়ে চলে গিয়েছিল কেয়া। বাড়ি ফিরে কবিতাদেবী কেয়ার খোঁজ পাননি। সন্দেহ হওয়ায় নদীতেও নামেন পড়শিরা। উদ্ধার হয় কেয়ার মৃতদেহ। দ্বিতীয় ঘটনাটি জলঙ্গির খয়রামারি-বাগিচাপাড়ার। দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে স্নান করতে গিয়ে ডুবে যায় দুই ভাই হাবিবুল (৮) ও কাবিবুল মণ্ডল (৬)।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ নবদ্বীপের কানাইনগরে একটি ছোট গাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন সাধন ঘোষ (৫০) নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি নবদ্বীপের মুকুন্দপুরে।
|
ছাত্রকে মারধর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলডাঙা |
বৃহস্পতিবার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত শ্রীশচন্দ্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রকে হঠাৎই বহিরাগত কিছু লোক এসে মারধর করে বলে অভিযোগ। |
|