|
|
|
|
দুষ্কৃতী হামলা, প্রতিবাদে তালাবন্দি শিক্ষক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভগবানগোলা |
জনা কুড়ি দুষ্কৃতীকে হাইমাদ্রাসায় নিয়ে এসে সহ-শিক্ষকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল ওহাবের বিরুদ্ধে।
দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে হাইমাদ্রাসার অধিকাংশ চেয়ার-বেঞ্চ ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ, আর তার জেরেই ঘটনার পরে ক্ষিপ্ত ছাত্রেরা দিনভ’র ওই শিক্ষককে হাইমাদ্রাসায় তালাবন্দি করে রেখে দেয়। আগামী মঙ্গলবার ভগবানগোলা ১ নম্বর বি ডি ও অফিসে এ ব্যাপারে সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার আশ্বাস পেয়ে শেষ পর্যন্ত আব্দুল ওহাবকে ‘মুক্তি’ দেওয়া হয়। |
|
ভগবানগোলায় মাদ্রাসায় গণ্ডগোল। নিজস্ব চিত্র। |
ওই শিক্ষক বলেন, “বহিরাগত দুষ্কৃতী নয়, এ দিন মাদ্রাসায় গিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। তাঁরা শিক্ষকদের কাছ থেকে হাইমাদ্রসার বিষয়ে কিছু জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সদুত্তর দেওয়ার বদলে সহ-শিক্ষকরা চেয়ার তুলে ওই অভিভাবকদেরই মারতে উদ্যত হন।” মাদ্রাসার অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য কাইজার রশিদ যাশুনে বলছেন, “প্রধানশিক্ষকের পদ পেতে ২০০৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন আব্দুল ওহাব। তিনি আর্থিক দুর্নীতিতে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছেন। এ কারণে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের পদ আঁকড়ে থাকতে মাদ্রাসার ভিতর তিনি এ দিন দুষ্কৃতী ঢুকিয়ে দিয়ে সহ-শিক্ষকদের ‘সহবত শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিলেন।”
মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, “শ্রেণিকক্ষ নির্মানের জন্য বরাদ্দ ১৬ লক্ষ টাকার মধ্যে তহবিলে রয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। পরিচালন সমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে ওই টাকা নয়ছয় করছেন তিনি। তাই নিয়ে আমরা পরিচালন সমিতির সদস্যরা আপত্তি তোলাতেই হাইমাদ্রাসায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল ওহাব।” ওই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির ফলে কয়েক মাস ধরে মাদ্রাসায় লেখাপড়া লাটে উঠেছে বলে ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ। তাদের অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধিকাংশ দিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় লেখাপড়ার পরিবেশের বদলে ডামাডোলের রাজত্ব চলছে। দৈনিক অর্ধেক ক্লাসই হয় না বলে তাদের দাবি। মুর্শিদাবাদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শুভেন্দুবিকাশ দত্ত বলেন, “এস এস সি থেকে প্রধানশিক্ষক নিয়োগ করার জন্য মাদ্রাসা থেকে আবেদন করার জন্য বহু বার বলা হয়েছে। কিন্তু বিশেষ ধরণের অসাধু উদ্দেশ্যের কারণে আজও আবেদন করা হয়নি। তদন্ত করে ওঅ সব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দশ বছর আগের বন্যায় প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল কালুখালির ওই সারফিয়া হাইমাদ্রাসা। পুনর্গঠনে সরকারি অর্থ বরাদ্দ হলেও আজও সেই মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রীর বসার মতো বেঞ্চ জোটেনি। মাথার উপর পাখা মেলেনি। স্টাফ কাউন্সিল থেকে একাধিক বার সিদ্ধন্ত নেওয়া সত্ত্বেও বছর দশেক ধরে প্রধানশিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনে আবেদনও করা হয়নি। |
|
|
|
|
|