|
|
|
|
জঙ্গলমহলে ক্রিকেট আনছে সিএবি |
রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায় • কলকাতা |
মাওবাদী-প্রভাবিত এলাকা হিসেবে বহুচর্চিত জঙ্গলমহলও এ বার ঢুকে পড়তে চলেছে বাংলার ক্রিকেট-মানচিত্রে। এবং সেখানে সিএবি ঢুকছে ’৮৩-র বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য এবং প্রাক্তন ভারতীয় কোচ সন্দীপ পাটিলকে সামনে রেখে।
মেদিনীপুর জেলা সিএবি-র অনুমোদিত সদস্য হলে কী হবে, এত দিন জঙ্গলমহলে ঢুকতে পারেনি রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থা। কিন্তু হালে জঙ্গলমহল সহ ঝাড়গ্রাম সাব-ডিভিশনে ক্রিকেট চালু করার ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়েছেন সিএবি কর্তারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গেও আলোচনা হয়ে রয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহেই জঙ্গলমহলে ক্রিকেট চালু করে দেবে সিএবি। এবং ওই অঞ্চলে ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে সেপ্টেম্বর মাসে যাবেন সন্দীপ পাটিল। আগামী সেপ্টেম্বরে তিন দিনের জন্য তিনি শহরে আসছেন। “পাটিল গেলে ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ ওখানে আরও বাড়বে। নেটে ক্রিকেটারদের উনি টিপসও দেবেন,” বলছিলেন সিএবি যুগ্ম-সচিব বিশ্বরূপ দে।
ঠিক কী কী করতে চাইছে সিএবি?
জানা গেল, শুরুতে এলাকার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের বাছার জন্য একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থা হচ্ছে। ১৫ দিন ধরে চলবে এই শিবির। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ) অনুমোদিত যে সব কোচ বাংলায় আছেন, তাঁরা যাবেন প্রতিভা বেছে নিতে। মূলত, ১৬ বছরের কম বয়সি প্রতিভাদের বাছার কথা ভাবা হচ্ছে। সঙ্গে পরিকল্পনা চলছে একটি স্কুল টুর্নামেন্ট করার। যেখানে জঙ্গলমহল সহ ঝাড়গ্রাম সাব ডিভিশনের অন্তত গোটা দশেক স্কুলকে হাজির করানোর চেষ্টা হচ্ছে। স্পর্শকাতর অঞ্চল বলে মেদিনীপুর জেলার উপর দায়িত্ব না ছেড়ে সিএবি সরাসরি পুরো ব্যাপারটা দেখবে। ঝাড়াই-বাছাই শেষে যে সব প্রতিভা উঠে আসবে, তাদের সুযোগ দেওয়া হবে সিএবি লিগে। ইতিমধ্যেই সংস্থার কর্তারা কলকাতার কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে রেখেছেন, যাতে ওই অঞ্চল থেকে উঠে আসা ক্রিকেটারদের সুযোগ পেতে অসুবিধা না হয়। “সামাজিক কতর্ব্যের কথা ভেবেই আমরা এটা ঠিক করেছি। অনেক দিন ধরেই ব্যাপারটা আমাদের মাথায় ছিল। তবে জঙ্গলমহল অঞ্চলে ক্রিকেট শুধু চালু করেই থেমে থাকব, এমন নয়। নিয়মিত ভাবে ওখানে ক্রিকেট হবে,” বলে দিলেন সিএবি যুগ্ম-সচিব। |
|
|
|
|
|