|
|
|
|
|
স্যান্টোসের ফর্ম এ বার ব্রাজিলেও দেখাব : নেইমার
সংবাদসংস্থা • কর্দোবা |
|
সেই দমবন্ধ করা ফাঁসটা আর নেই। আলগা হয়ে গিয়েছে। ব্রাজিলকে কোপার কোয়ার্টারে তুলে নেইমারের মনে হচ্ছে, তিনি আকাশ ছুঁয়েছেন!
আলেসান্দ্রো পাতো দেশের সমর্থকদের ডাক দিচ্ছেন পুরোনো কোপা ভুলতে। তাঁর মনে হচ্ছে, চেনা সেই টিম স্পিরিট ফিরে এসেছে ব্রাজিলে। আসল কোপা এ বার শুরু!
সমালোচকদের হৃদয় জিতেও চিন্তা যাচ্ছে না মাইকনের। প্রার্থনা করছেন, কোপার বাকি ম্যাচে তিনি যেন প্রথম এগারোয় থাকেন! টুকরো-টুকরো ছবি। মন্তব্য। ইকুয়েডরকে চার গোল মেরে ফুটছে সাম্বা-শিবির। এবং দু’গোল হজম করার কাহিনি কেউ ধর্তব্যের মধ্যে আনছেন না। কোয়ার্টার ফাইনালে কোন স্ট্র্যাটেজিতে ঝাঁপিয়ে পড়া হবে, সে সবও পাত্তা পাচ্ছে না। বরং হুঙ্কার আসছে, ‘অন্য’ ব্রাজিলের আবির্ভাবের।
ইকুয়েডরকে হারানোর পর আর রোখা যায়নি নেইমারকে। কোপায় মেসির পরে কেউ যদি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়ে থাকেন, তো স্যান্টোসের এই স্ট্রাইকার। কিন্তু প্রথম দু’ম্যাচে মোটেই সুবিধা করতে পারেননি। উল্টে চোখা-চোখা সমালোচনা চুপচাপ হজম করতে হয়েছে। কিন্তু ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে দু’গোল করে নেইমার বলে দিয়েছেন, “এত দিন স্যান্টোসের হয়ে যেটা করতাম, এ বার সেলেকাওয়ের হয়ে সেটা করলাম। অসম্ভব ভাল লাগছে।” ব্রাজিলের ১৯ বছরের এই স্ট্রাইকারকে নিয়ে ভাল রকম টানাটানি শুরু হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি, এ সি মিলানের মধ্যে। এবং নেইমার বলেছেন, “ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে আমি মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছি। নিজের খেলাটা খেলেছি। এবং ওদের ডিফেন্সকে হারিয়ে দু’গোল করেছি।”
কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের সামনে এ বার প্যারাগুয়ে। যাদের কাছে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেইমাররা আটকে গিয়েছেন। কিন্তু ব্রাজিলের চিন্তা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে প্যারাগুয়ের শেষ ম্যাচের ফর্ম। ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত ৩-৩ ড্র করেছে প্যারাগুয়ে। তাও আবার ম্যাচে ৩-১ এগিয়ে থাকা অবস্থা থেকে। ব্রাজিলের আর এক স্ট্রাইকার পাতো অতীতকে ভুলতে চাইছেন। ইকুয়েডর ম্যাচে টিমকে দেখে তিনি খুশি। বলেছেন, “এই ম্যাচটা নিয়ে আমরা সবাই অনেক আশা করেছিলাম। খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। যে ভাবেই হোক, জেতাটা দরকার ছিল।” সঙ্গে যোগ করেছেন, “গ্রুপে আমরা এক নম্বর হয়ে শেষ করলাম। কোয়ার্টার ফাইনালেও উঠেছি। এটাই তো চেয়েছিলাম আমরা। এখন অতীত ভুলে আরও বেশি খাটতে হবে। নতুন কোপা সবে শুরু হল।”
কিন্তু নেইমার-পাতো নন, ফুটবলবোদ্ধারা যাঁকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত সেই মাইকন এখনও আশঙ্কায় ডুবে। রাইট ব্যাক পজিশনে দানি আলেভেজের জায়গায় তিনি আসতেই ছন্দ ফিরেছে সাম্বার। অথচ প্রথম দু’টো ম্যাচে মাইকন সুযোগই পাননি! “আশা করি, এ বার থেকে প্রথম দলে থাকব। কিন্তু আমি তাকিয়ে আছি পরের ম্যাচে মেনেজেস আমাকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন সেটা দেখার জন্য। যদি উনি আমাকে বাছেন, তা হলে টিমের জন্য সব করব।” প্রশংসা কুড়িয়েছেন সেলেকাও মিডফিল্ডার গান্সোও। বলেছেন, “দেশের কাজে আসতে পেরে আমি খুশি। টিম উন্নতি করেছে, আমিও করেছি। আরও উন্নতি করব সামনের ম্যাচগুলোতে।”
নেইমার থেকে পাতো। মাইকন থেকে গান্সো। শেষ চারের যুদ্ধে সবাই একটা জিনিসই চাইছেন। ‘জোগা বোনিতো’-র ঢেউ তুলতে। |
|
|
|
|
|