|
|
|
|
হার্পারের বোমা: ধোনি হুমকি দিয়েছিল |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
অবশেষে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ডারিল হার্পার। দাবি করলেন, ভারত অধিনায়ক মাঠে তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “ডারিল তোমাকে নিয়ে কিন্তু আমাদের আগেও সমস্যা হয়েছে।” প্রাক্তন টেস্ট আম্পায়ার এ দিন ধোনিকে সরাসরি দুর্বিনীত বলার পাশাপাশি দাবি করেছেন, ধোনি ওয়েস্ট ইন্ডিজে তাঁকে যে ভাবে আক্রমণ করেছিলেন, তার জন্য ভারত অধিনায়কের শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল।
পাশাপাশি আইসিসি-কেও এক হাত নিয়েছেন হার্পার। জানিয়েছেন, ধোনি-কাণ্ডেই পরিষ্কার, নির্দিষ্ট কয়েকটা দলের ক্ষেত্রে আইসিসি ‘সিলেক্টিভ ম্যানেজমেন্ট’ পন্থা নিয়ে চলে। হার্পার জানিয়েছেন, তিনি কিংস্টন টেস্ট এবং তার পরবর্তী ঘটনাগুলোয় এতটাই আঘাত পেয়েছিলেন যে দমিনিকায় নিজের কেরিয়ারের শেষ এবং ৯৬তম টেস্ট না খেলিয়েই অবসর নিয়ে নেন।
কিংস্টন টেস্টের পর ধোনি সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি হার্পারের সমালোচনা করে বলেছিলেন, “মাঠে সিদ্ধান্তগুলো যদি ঠিকঠাক নেওয়া হত, তা হলে খেলাটা অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত আর এতক্ষণে আমি নিজের হোটেলের ঘরে ফিরে যেতে পারতাম।” হার্পার আরও বলেছেন, “ধোনির মন্তব্য ভীষণ আপত্তিকর। আইসিসি-র ওকে শাস্তি দেওয়া উচিত ছিল। বিশেষত ডিআরএস ব্যবহার করা হলেও যেখানে আমার সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে মাত্র একটাই বদলানোর দরকার পড়ত।” |
|
অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার আরও জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট চলাকালীন মাঠে ধোনি তাঁকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন। হার্পারের কথায়, “বারবার পিচ-এর মধ্যে ঢুকে পড়ার জন্য প্রবীণ কুমারকে আমি সতর্ক করি। তাতে প্রবীণকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নিতে হয়। ধোনি আমাকে এসে বলে, ডারিল, তোমাকে নিয়ে কিন্তু আমাদের আগেও সমস্যা হয়েছে।” এর পরে যোগ করেছেন, “ও বুঝতে পারেনি যে আমি কোনও টিম, কোনও বোর্ড বা কোনও ব্যক্তিকে ভয় পাওয়ার বান্দা নই। আমাকে চাপে ফেলতে না পেরেই বোধহয় পরে উল্টোপাল্টা বলে।” অভিনব মুকুন্দকে অতিরিক্ত আবেদন করার জন্য সতর্ক করা বা অমিত মিশ্রের বিরুদ্ধে আইসিসি-র আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও ধোনি সহজে মেনে নিতে পারেননি বলে হার্পার দাবি করেছেন।
ধোনিকে তুলোধোনা করার পাশাপাশি আইসিসি-র সমালোচনা করে বলেছেন, “ক্রিকেটের প্রশাসকেরা এই সব হতে দিচ্ছে দেখে আমি প্রচণ্ড হতাশ।” ভারতীয় বোর্ডের চাপের কাছে আইসিসি নতিস্বীকার করে বলে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, “আমার মনে হয় বাইরের অনের ব্যাপার ক্রিকেটে থাবা বসাচ্ছে। ক্রিকেট খেলাটা অসম্ভব মূল্যবান, এটাকে এ ভাবে নষ্ট হতে দেওয়া উচিত নয়। আমি কোনও রাজনীতিক বা প্রশাসক নই, মামুলি এক জন আম্পায়ার। কিন্তু সাবাইনা পার্কে আমাকে যা সহ্য করতে হচ্ছিল, তাতে বুঝতে পারি পরিস্থিতি আমাকে বলছে এক জন আম্পায়ারের বোধহয় মাঠে সবাইকে সমান চোখে দেখাটা ঠিক হচ্ছে না। অথচ, এতদিন সেটাকেই আদর্শ ব্যবস্থা বলে মানা হয়েছে!”
হার্পার জানিয়েছেন, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাগাতার তাঁর সমালোচনা করে চলেছে দেখে তিনি মুখ খোলার সিদ্ধান্ত নেন। প্রসঙ্গত, অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়া এর পর যে টেস্ট খেলবে, সেই ম্যাচের মধ্যেই হার্পারকে বিশেষ সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। খেলটা আবার ভারতের বিরুদ্ধেই! |
|
|
|
|
|