|
|
|
|
রামস্বরূপ নিয়ে ফের বৈঠক শ্রম দফতরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দীর্ঘ দিন ধরেই উৎপাদন বন্ধ। কর্মীদের বেতনের কিছুটা দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল। তা-ও শেষ হয়েছে। এ বার কর্তৃপক্ষ লুকিয়ে কারখানার বিভিন্ন সরঞ্জাম বাইরে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল সমর্থক শ্রমিকরা। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কারখানার সরঞ্জাম বাইরে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার কথা মানেননি কারখানার ওয়ার্কস ম্যানেজার নবীন আগরওয়াল। তাঁর দাবি, “উৎপাদন বন্ধ সত্ত্বেও কিছু শ্রমিক পুরো মাইনে দাবি করে সমস্যা তৈরি করছেন।” |
|
কারখানার গেটে বিক্ষোভ তৃণমূলের। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
আজ, শুক্রবার রাজ্যের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের। তার আগে কর্তৃপক্ষের মতিগতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস চৌধুরীর বক্তব্য, “কর্তৃপক্ষ কোন পথে চলতে চাইছেন তা শ্রমিকরা বুঝছেন না। গাড়ির পর গাড়ি ঢুকছে কারখানায়। বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে চলে যাচ্ছে। শ্রমিকরা তাই গেটে দাঁড়িয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন।” কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়ানো তাঁদের উদ্দেশ্য নয় জানিয়ে দেবাশিসবাবুর বক্তব্য, “আমরা শুধু চাই শ্রমিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন। কারখানার সরঞ্জাম নিয়ে চলে যাওয়ার অর্থ তো কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা। তা মেনে নেওয়া হবে না।” সিটু নেতা অসিত সরকারও বলেন, “সরকারি নিয়মেই রয়েছে, এমন অবস্থায় কারখানা থেকে উৎপাদনে লাগে এমন সরঞ্জাম বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। সব বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক রয়েছে।” ওয়ার্কস ম্যানেজারের অবশ্য দাবি, “পড়ে থাকা নষ্ট সরঞ্জাম বিক্রি করে শ্রমিকদের মাইনে দেওয়া হচ্ছিল। উৎপাদনে যুক্ত সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “আমরা দেখছি, অনেক জিনিস চুরি যাচ্ছে। যারা চুরি করাচ্ছে তারাই ক্ষতির কারণ।”
গত বছর এপ্রিল থেকে রামস্বরূপে সমস্যা চলছে। শ্রমিক-মালিক বিরোধে ‘লক আউট’ও ঘোষণা হয়। তার পর থেকে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়, ২০১১-র এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিটি স্থায়ী শ্রমিককে মাসের ১৭ দিনের মাইনে দেওয়া হবে। অস্থায়ী শ্রমিকদের মাসের ১০ দিনের মাইনে ও লোডিং-আনলোডিংয়ে যুক্ত শ্রমিকদের মাসে ৭০০ টাকা দেওয়া হবে। কারখানা খুললে পুরো মাইনে দেওয়া শুরু হবে। দ্রুত কারখানা চালুর ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হবেন বলেও ত্রিপক্ষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু উৎপাদন বন্ধই। আংশিক বেতনদানের চুক্তির মেয়াদও চলতি বছর এপ্রিলে শেষ হয়ে গিয়েছে। শ্রমিকরা পুরো মাইনের দাবিতে সরব হচ্ছেন। আজ, শ্রম দফতরের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে শ্রমিক-মালিক দু’পক্ষই। |
|
|
|
|
|