|
|
|
|
আট হাতিকে নিয়ে চিন্তায় বন দফতর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
সোনামুখী ও রাধানগর রেঞ্জের জঙ্গলে আটটি হাতির পাল দুশ্চিন্তায় পড়েছে বন দফতর। বাচ্চাকাচ্চা-সহ ওই দলটি সদ্য দলমা থেকে ঢুকেছে, না কি তারা বাঁকুড়া জেলারই ‘রেসিডেন্ট’ দাঁতালমূলত সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মঙ্গল ও বুধবার সোনামুখী ও রাধানগর রেঞ্জ লাগোয়া গ্রামগুলিতে তাণ্ডব চালিয়েছে এই হাতির দলটি।
মঙ্গলবার রাধানগর রেঞ্জের ইছারিয়া গ্রামে ধর্মদাস রায় নামের এক বাসিন্দার আটাচাকি ভেঙে দিয়েছে হাতিগুলি। কলাবেড়িয়া গ্রামে ইন্দুভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ইটের পাঁচিল ভেঙে দিয়েছে। ক্ষতি করেছে কার্তিক ভঞ্জের চাষজমির। বুধবার রাতে তারা হানা দেয় সোনামুখী ব্লকের কোচডিহি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মালা মণ্ডলের কুমড়ো ওধানের জমিতে। ইছারিয়া গ্রামের বিধান মুখোপাধ্যায় বলেন, “গ্রামে ঢোকা ওই দলটিতে বাচ্চা-সহ আটটি হাতি ছিল। আমাদের বাড়ির উঠোনেও ঢুকেছিল তারা। অনেক কষ্টে পটকা ফাটিয়ে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়েছি। একসঙ্গে অতগুলো হাতির সামনে পড়ে গেলে বিপদ হতে পারত।”
বন দফতরের সোনামুখী ও রাধানগর রেঞ্জের দুই আধিকারিক সুধাময় রায় ও দেবরাজ সুর বলেন, “হাতিগুলি দমলা পাহাড় থেকে সদ্য ঢোকা, না কি জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো ‘রেসিডেন্ট’ দাঁতাল আমরা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারছি না। তবে বনকর্মীদের নজর রাখতে বলেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারি নিয়ম মেনে সাহায্য করা হবে।” বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অগস্টের শেষ বা সেপ্টেম্বরের গোড়ায় দলমার হাতির দল এই জেলায় ঢোকে। তার আগেই ছোট একটি দল সত্যিই ঢুকে পড়লে, তা বেশ চিন্তার বলে জানিয়েছেন বনকর্তারা। মাস কয়েক আগে বিষ্ণুপুর বন বিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জের জঙ্গলে এ রকমই একটি দমলার ছোট হাতির দল চলে এসেছিল। বাঁকাদহের রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “সেই দলটিকে অনেক কষ্টে মেদিনীপুরের দিকে পাঠানো হয়েছিল।” আট হাতির এই দলটি যদি সত্যি দলমার হয়, তা হলে তারা কোন পথে সোনামুখীতে ঢুকল, তা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন বনকর্মীরা। যে-সব গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে দলটি অবস্থান করছে, সেই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বন দফতর। |
|
|
|
|
|