|
|
|
|
অরণ্য সপ্তাহের সূচনার দিনই গাছ কাটল স্কুল, বিতর্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
অরণ্য সপ্তাহের সূচনার দিনই তিনটি ইউক্যালিপ্ট্যাস গাছ কেটে ফেলা হল স্কুল চত্বর থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুরের মড়ার সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ বন দফতর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বন দফতরকে কোনও খবর না দিয়েই এ দিন স্কুল চত্বরে থাকা তিনটি বড় গাছ কেটে ফেলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। রাজ্য জুড়ে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে যখন অরণ্য সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে, সেই সময় এই ধরনের ঘটনায় কিছুটা বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বন দফতরের বাঁকাদহ রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষের ক্ষোভ, “এ দিন থেকে পুরো সপ্তাহ জুড়ে বৃক্ষরোপণের আবেদন জানিয়ে সর্বত্র প্রচার করা হয়েছে। বিশেষ করে স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে। তার পরেও আমাদের না জানিয়ে তিনটি গাছ কী করে কেটে ফেলা হল, তার কৈফিয়ত স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হবে।” |
|
ছবি: শুভ্র মিত্র।
|
সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন মণ্ডলের অবশ্য দাবি, “এ দিন থেকে অরণ্য সপ্তাহ শুরু হচ্ছে বলে জানতাম না। গাছটির ডালপালা স্কুল ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়ায় অসুবিধা হচ্ছিল। তাই কাটা হয়েছে।” প্রায় একই সুরে ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক অশোক পাল বলেন, “অরণ্য সপ্তাহের মধ্যে গাছ কাটা উচিত হয়নি। আমরা না জেনেই এই কাজ করেছি।” গাছকাটার আগে বন দফতরের অনুমতি নিয়েছিলেন? তাঁদের দুজনের সাফাই, “স্কুল চত্বরের ভিতরেই ছিল গাছগুলি। কাটা গাছের কাঠ থেকে স্কুলেরই বেঞ্চ তৈরি হবে। তার জন্য বন দফতরের অনুমতি নিতে হয় বলে জানি না।” স্থানীয় মড়ার গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র কামরুল মান্না বলেন, “রাজ্যজুড়ে অরণ্য সপ্তাহ শুরু হয়েছে। প্রচার মাধ্যমে তা বিজ্ঞাপিত হয়েছে। তার পরেও এ দিন গাছ লাগানোর বদলে গাছ কেটে ফেলা হল কেন, ভাবতেই অবাক লাগছে।” ছাত্রছাত্রীদের সামনে সকাল থেকে গাছগুলি কাটা হচ্ছিল। দশম শ্রেণির পড়ুয়া রহমত মণ্ডল, ষষ্ঠ শ্রেণির রেজাউল মল্লিকরা বলে, “বইয়ের পাতায় গাছ লাগাতে হয় বলে পড়েছি। তার বদলে স্কুলের সামনে গাছগুলো কেন কাটা হল বুঝতে পারছি না।” |
|
|
|
|
|