|
|
|
|
চন্দননগরে চটকলে ঢোকার মুখে লেবার অফিসার খুন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর |
দিনের আলোয় চটকলে ঢোকার মুখে এক লেবার অফিসারকে গলার নলি কেটে, গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলের কাছে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম ফিরোজ আখতার (৫৯)। তিনি মিলের আবাসনে থাকতেন। আসল বাড়ি বাঁশবেড়িয়ার বোরোপাড়ায়। মাস তিন আগে ফিরোজবাবু অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ফের কাজে যোগ দেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রোজকার মতো এ দিনও ফিরোজবাবু সকালে মিলে যান। দুপুরে বেরিয়ে আবাসনে এসে খাওয়া-দাওয়া সারেন। বিকেল ৪টে নাগাদ সাইকেলে চেপে ফের মিলের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মিলের গেটের কাছেই ফাঁকা জায়গায় দুষ্কৃতীরা পথ আগলে তাঁর পেটে গুলি করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই লেবার অফিসার। দুষ্কৃতীরা গা ঢাকা দেয়। মিলের দারোয়ান গুলির শব্দ পেয়ে বেরিয়ে আসেন। এক পথচারীও সেখানে এসে পড়েন। দু’জনে চেঁচিয়ে লোক জড়ো করেন। ফিরোজবাবুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভদ্রেশ্বর পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে তদন্তে আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) দেবাশিস বেজ এবং চন্দননগরের এসডিপিও তথাগত বসু। পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরীও ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
এসপি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন। অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা মনে করছেন, পেশাদার খুনিরাই এই কাজ করেছে। গুলি করা হয় খুব কাছ থেকে। গুলি পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। খুনের পরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বামপন্থী একটি সংগঠনের তরফে অবরোধেরও চেষ্টা হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশ্য অবরোধ হয়নি। সিটু নেতা শ্যামল বাগ বলেন, “ফিরোজবাবু আমাদের পুরনো পার্টি মেম্বার। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত সাপেক্ষ।” |
|
|
|
|
|