বাস ধর্মঘটের জেরে বৃহস্পতিবার হুগলিতে দুর্ভোগ পোহালেন যাত্রীরা। সরকারি বাস, ট্রেকার, অটোরিকশা চললেও হয়রানি দূর হয়নি। তবে, জেলা থেকে ছাড়া দূরপাল্লার বাস ধর্মঘটে সামিল হয়নি। ধর্মঘটে সামিল হলেও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আরামবাগ থেকে বন্দর, কোতুলপুর, জয়রামবাটি, বদনগঞ্জ প্রভৃতি রুটে বাস চলেছে। এই সব রুটের বাস-মালিকদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের হুমকিতে তাঁরা বাস চালাতে বাধ্য হন। একই অভিযোগ অন্য কয়েকটি রুটের বাস-মালিকদেরও। ১৬/২০ রুটের বাস-মালিক সংগঠনের সম্পাদক অমিয় পাইনের অভিযোগ, “বার বার ডিজেল, টায়ার, যন্ত্রাংশের দাম বাড়ছে। ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আমাদের ধর্মঘট করার অধিকার থাকবে না! আরামবাগের তৃণমূল নেতা আকবর আলি দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তারকেশ্বরের তৃণমূল নেতা উত্তম কুণ্ডু তারকেশ্বর বাসস্ট্যান্ডেই ঢুকতে দেবেন না বলে শাসিয়েছেন।” দুই নেতাই অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। আরামবাগ মহকুমায় ছোট রুটের এক্সপ্রেস বাস কিছু চলেছে। ২৬ নম্বর বাস না চলায় আউশবালি, শ্রীরামপুর, চণ্ডীতলা, হরিপাল, নালিকুল, চাঁপাডাঙা, জাঙ্গিপাড়া, রাজবলহাট-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ অসুবিধায় পড়েন। চুঁচুড়া-মেমারি, পাণ্ডুয়া-চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর-পাণ্ডুয়া, বৈচি-কালনা, পাণ্ডুয়া-কালনা, পাণ্ডুয়া-তারকেশ্বর কোনও রুটের বাসই এ দিন রাস্তায় নামেনি। একই অবস্থা চুঁচুড়া, ধনেখালি, রিষড়া, ভাণ্ডারহাটি, বাগখাল, জিরাট বা বলাগড়েও। পাণ্ডুয়ায় সে ভাবে দেখা মেলেনি ট্রেকার বা অটোরও। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, বাগনান, আমতা, শ্যামপুর-প্রভৃতি রুটে এ দিন সকাল থেকেই কোনও বাস চলেনি। তবে অটো, ছোট গাড়ি, ট্রেকার চলেছে। সিটিসি-র বাগনান-ধর্মতলা, আমতা-ধর্মতলা, ডোমজুড়-ধর্মতলা রুটের বাস বেশি পরিমাণে চলেছে। সিএসটিসি-র গাদিয়াড়া-ধর্মতলা রুটেও অতিরিক্ত বাস চলে।
|
বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পেটানো হল সিপিএমের এক সমর্থককে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের বালিপুর গ্রামে। অভিযোগ, দিবাকর বেরা নামে ওই ব্যক্তিকে জনা তিরিশ লোক এসে জোর করে তুলে নিয়ে যায় হাওড়া সীমান্তের হড়াল-সংলগ্ন রামপুর এলাকায়। লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় তাঁকে। হাত-পা ভেঙেছে দিবাকরবাবুর। খানাকুল থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকেই। সিপিএম নেতা বংশীবদন মৈত্র বলেন, “তৃণমূল নেত্রী মুখে শান্তির কথা বললেও আসলে সিপিএমকে মুছে ফেলতে চাইছেন।” তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমান বলেন, “ঘটনাটি দলীয় ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। আমাদের কেউ যুক্ত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ দিনই খানাকুলের বলপাই গ্রামে তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে হামলা চালানো এবং ওই দলের এক সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। সিপিএম নেতারা অবশ্য ঘটনাটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। পুলিশ এলাকায় গিয়েছে।
|
কারখানায় ঢুকে নিরাপত্তা কর্মীদের বেঁধে রেখে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়ার কাছে কুলগাছিয়ায়। কারখানা মালিক শেখ মেয়াজ্জেম মণ্ডলের দাবি, রাত ২টো নাগাদ ১০-১২ জনের একটি দুষ্কৃতী-দল গাড়ি চড়ে এসে কারখানার গেটে থামে। কয়েক জন পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়ে। কারখানার তিন নিরাপত্তা কর্মীকে গামছা-দড়ি দিয়ে চোখ-মুখ, হাত-পা বেঁধে দেয়। পরে কারখানার ছাদে উঠে লোহার রড নিয়ে এসে গোডাউনের তালা ভাঙে। যন্ত্রাংশ লুঠ করে। রেলে সরবরাহের জন্য মূলত তামার যন্ত্রাংশ ছিল সেখানে। উলুবেড়িয়ার এসডিপিও তন্ময় সরকার বলেন, “কাউকেই আমরা সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখছি না। আপাতত তদন্তের স্বার্থেই এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবে না।”
|
বাজার সেরে বাড়ি ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার সকালে দুঘর্টনাটি ঘটে পুড়শুড়ার সাঁওতায়। মৃতের নাম বিবেকানন্দ মাজি (৩৬)। ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক এক জনের সাইকেলের পিছনে বসে ফিরছিলেন। লরিটি পিছন থেকে ধাক্কা মারে। বিবেকানন্দ রাস্তায় ছিটকে পড়ে লরির চাকায় পিষ্ট হন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। সাইকেল-চালকের অবশ্য কিছু হয়নি। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। লরিটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক।
|
বৃহস্পতিবার সকালে গোঘাটের আমোদপুরের একটি পুকুর থেকে একটি ওয়ান শটার উদ্ধার হল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক গ্রামবাসী ওই পুকুরে মাছ ধরার জন্য জাল পেতেছিলেন। তাঁর জালেই উঠে আসে আগ্নেয়াস্ত্রটি। অন্য দিকে, খানাকুলের লতিবপুরে সিপিএমের লোকাল কমিটির অফিসের কাছ থেকে এ দিনই উদ্ধার হয়েছে দু’টি মাসকেট, ৬টি হাতকামান বানানোর পাইপ, বোমার মশলা, মিনিকামানের গোলা।
|
বুধবার বাঁকুড়ার কোতুলপুরের তাজপুরের বাসিন্দা অঞ্জলি পাত্র (৩৫) আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তি তিনি বিষ খান। |