|
|
|
|
কথা চলবে পাকিস্তানের সঙ্গে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মুম্বই সন্ত্রাসের পরেও পাকিস্তানের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা থেকে সরে আসছে না ভারত। তবে দিল্লির ব্যাখ্যা, এই হামলা গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তার অভাবটিকেই আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম আজ বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়ে জানিয়েছেন, “সন্ত্রাসের স্নায়ুকেন্দ্র আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান। আমরা সব চেয়ে সমস্যাসঙ্কুল প্রতিবেশী রাষ্ট্র নিয়ে ঘর করছি। তাই ভারতের অবস্থা ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।”
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারত এক দিকে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া যেমন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তেমনই আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের সন্ত্রাস কারখানা নিয়েও চাপ তৈরির চেষ্টা করে চলেছে। আজ বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ বলেছেন, “মুম্বই সন্ত্রাসের ঘটনা আমাদের আরও এক বার মনে করিয়ে দিল, সন্ত্রাসবাদ ভারতের কাছে এক ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জ।” তবে পাশাপাশি তিনি এ কথাও জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে আসন্ন বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের কোনও রদবদল হবে না। আগামী ১৯ তারিখ মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ভারতীয় কর্তারা। নিরাপত্তার বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হবে। ক্লিন্টন আসার দু’দিন আগে ভারতে আসছেন মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের উপপ্রধান জেন হল লিউট। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, বিমানবন্দর, নদী বন্দর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জোরদার করা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কথাবার্তা হবে লিউটের সফরে।
এরই মধ্যে আজ মুম্বইয়ের ঘটনার কড়া নিন্দা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে। হাসিনা সেই চিঠিতে লিখেছেন, “কোনও ধরনের সন্ত্রাসের ঘটনাই মেনে নেওয়া যায় না। পিছনে যে কারণই দেখানোর চেষ্টা হোক না কেন, সন্ত্রাসবাদ সর্বদাই অযৌক্তিক এক অপরাধ।” গোটা অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে সম্মিলিত প্রয়াসের কথাই তুলে ধরেছেন তিনি মনমোহনকে লেখা চিঠিতে। দিল্লির কূটনীতিকদের কথায়, পাকিস্তান যখন সন্ত্রাসবাদের স্নায়ুকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, চিনের ড্রাগন নয়াদিল্লির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে, তখন ঢাকার এই মনোভাব ভারতের কাছে যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক। হাসিনার চিঠির উত্তর দিচ্ছেন মনমোহন। দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানাবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। মনমোহন সিংহ সেপ্টেম্বরের গোড়ায় বাংলাদেশ যাচ্ছেন। তার আগে অগস্টে কলকাতা যাবেন তিনি। ঢাকা যাওয়ার আগে কলকাতা যাওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতায় গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। সীমান্ত সুরক্ষা, বাংলাদেশের সঙ্গে জল চুক্তি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|