|
|
|
|
রাজ বব্বরের সামনেই হাঙ্গামা কংগ্রেস কর্মীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বিশৃঙ্খলা থেকে বেরোতেই পারছে না বিহার কংগ্রেস। আজ পটনার এস কে মেমোরিয়াল হলে বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের ‘নির্মাণ সম্মেলন’-এ কার্য রাজ্য কংগ্রেসের ‘বিনির্মাণ’-ই প্রকট হয়ে উঠল। ফের প্রকাশ্যে দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লেন। সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাজ বব্বর এবং এআইসিসি-র তরফে বিহারের দায়িত্বে থাকা গুলচন্দ সিংহ চরক। তাঁদের উপস্থিতিকে পাত্তা না দিয়েই কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে লড়াই এবং কটূক্তি চালিয়ে গেলেন।
সম্মেলনের শুরুতে হাঙ্গামা শুরু হয় মূলত অন্য দল থেকে আসা নেতাদের মঞ্চে ডাকা নিয়ে। বাহুবলী পাপ্পু যাদবের স্ত্রী রঞ্জিতা রঞ্জন-সহ নাগমণি, দশাই চৌধুরিদের প্রদেশ সভাপতি মহবুব আলি কৌসর মঞ্চে ডাকতেই নরেন্দ্র কুমার, মনোরমা সিংহ, জ্যোতি কুমারীর মতো পুরনো কংগ্রেসি নেতারা তার বিরোধিতা শুরু করে দেন। প্রকাশ্যেই স্লোগান দিতে শুরু করেন একদল কংগ্রেস কর্মী। এর মধ্যেই রঞ্জিতা রঞ্জন বক্তৃতা দিতে উঠে বলেন, “কংগ্রেসিরাই কংগ্রেসিদের হারিয়ে দেয়। এটাই এখন বিহার কংগ্রেসের বেড়ে ওঠার পথে প্রধান বাধা।” রঞ্জিতার এই বক্তব্যের পরে হাঙ্গামা আরও বেড়ে যায়।
সম্মেলনের শেষের দিকে কৌসর রাজ বব্বরকে বক্তৃতা দিতে আমন্ত্রণ জানাতেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন কিষাণগঞ্জের বিধায়ক জাভেদ। তাঁর কথায়, “রাজ বব্বরকে ডেকে নেওয়া মানে তো আমাকে আর বক্তৃতা দিতে ডাকাই হবে না।”
রাজ বব্বরই জাভেদকে কোনও রকমে শান্ত করেন। এর পরেও অবশ্য নৈরাজ্য কমেনি। রাজ বব্বরের বক্তৃতার পরে কংগ্রেস সভাপতি সবশেষে বক্তব্য রাখতে ডাকেন গুলচন্দ সিংহ চরককে। কিন্তু ততক্ষণে শ্রোতারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারকা রাজ বব্বরের সঙ্গে হাত মেলাতে। শেষ পর্যন্ত গুলচন্দ দু’লাইন কোনও রকমে বলেই নিজের বক্তব্য শেষ করে দেন।
এর মধ্যেও অবশ্য মহবুব আলি কৌসর একজোট হয়ে নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংঘটিত করার জন্য কংগ্রেস কর্মীদের কাছে আবেদন করেন! |
|
|
|
|
|