|
|
|
|
অগস্টে সংসদ থেকে ইস্তফা মমতার, নতুন নেতার খোঁজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আগামী মাসে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন চলাকালীন দিল্লিতে এসে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি লোকসভায় একটি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেওয়ার কথাও রয়েছে তাঁর।
তৃণমূলের জন্ম থেকেই সংসদীয় নেতার ভূমিকায় দিল্লিতে সক্রিয় থেকেছেন মমতা। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী ছ’মাসের মধ্যে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দিতে হবে তাঁকে। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, অধিবেশন চলাকালীনই সংসদে আসতে চাইছেন মমতা। তবে বিগত বহু বছরের মধ্যে এই প্রথম দিল্লিতে অধিবেশন চলার সময় সাংসদ হিসাবে থাকবেন না তিনি। ফলে তাঁকে সংসদীয় নেতা বাছার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি এ বার সারতে হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর, যৌথ সংসদীয় দলের নেতা হিসাবে মকুল রায়ের নাম ভাবছেন মমতা। ইউপিএ-র দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই তৃণমূলের মুখ্য সচেতক ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। এ বার তাঁর জায়গায় মুখ্য সচেতক পদটি পেতে পারেন রত্না দে নাগ। এই মুহূর্তে তিনি দলের উপ-মুখ্য সচেতকও বটে। রত্নার পাশাপাশি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও ভাবা হচ্ছে এই পদে। মমতা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর লোকসভার নেতার পদে কে আসবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে। পাশাপাশি রাজ্যসভায় দলের পৃথক নেতাও বাছতে হবে তৃণমূল নেত্রীকে।
টিম সাজানোর পাশাপাশি আরও একটি সম্ভাব্য সমস্যার সামনে তৃণমূল। ২০০৯-এ ইউপিএ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক হিসাবে একটি বড় সংসদীয় অফিস প্রাপ্য তৃণমূলের। কিন্তু সমস্যা হল তেলুগু দেশম বা আরজেডি-র মতো কিছু দল পঞ্চদশ লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যায় অনেক কমে গেলেও পুরনো বড় দফতর ছাড়তে নারাজ। বিষয়টি নিয়ে স্পিকার সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে দু’টি বৈঠক করলেও ফল হয়নি।
এত দিন সংসদ চলাকালীন রেলমন্ত্রী মমতার ঘরটিই ছিল কার্যত তৃণমূলের সংসদীয় পার্টি অফিস। কিন্তু মমতার অনুপস্থিতিতে এ বার অফিসের পাওয়াটা জরুরি হয়ে উঠেছে। রাজ্যসভায় সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে আসন্ন অধিবেশনে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হবে ২৪ জন। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “এনডিএ জমানায় যে ৯ জনের ঘরটি আমাদের জন্য বরাদ্দ ছিল, সে’টি এখনও রয়েছে। কিন্তু ২৪ জনের দল নিয়ে ৯ জনের ঘরে বসা সম্ভব নয়।” তাঁর কথায়, “মমতার সঙ্গে স্পিকারের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। তৃণমূল নেত্রী তাই বিষয়টি নিয়ে ঝগড়া-ঝাঁটি না করে অনুরোধ উপরোধের মাধ্যমে এগোতে চাইছেন।” দলীয় সূত্রের খবর, সংসদ শুরু হওয়ার আগে মমতার নির্দেশে দলের বর্তমান মুখ্য সচেতক সুদীপবাবু ফের কথা বলবেন স্পিকার মীরা কুমারের সঙ্গে।
রাজ্যসভার নতুন সাংসদদের নির্বাচন এখনও হয়নি। কিন্তু তৃণমূলের দুই নতুন মন্ত্রীর জন্য নতুন বাংলোর প্রয়োজন। রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী জানিয়ে দিয়েছেন ৪ নং লোদী এস্টেটের বাড়িটিতেই তিনি স্বচ্ছন্দ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তিনি এখন যে তালকাটোরা রোডের বাড়িতে আছেন, সেখানে অফিস তৈরির সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায় এবং জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়ের সঙ্গে। মুকুলবাবু তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি নিজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটটিতে চলে যাচ্ছেন। তাই তাঁর জন্য নির্ধারিত টাইপ-৮ বাংলোটি সুদীপবাবু (১এ মৌলানা আজাদ রোডে) নিতে পারেন। স্থির হয়েছে, এই বাড়িটিই নেবেন সুদীপবাবু। |
|
|
|
|
|