|
|
|
|
|
কেমন হবে নয়া শিল্পশালা,
আজ জানবে শহর
শোভন তরফদার |
|
জনতার দরবারে আজ নেমে আসছে একটি স্বপ্ন। যার সূচনা হয়েছিল কয়েক বছর আগে, সরকারি এবং বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক শিল্পসংগ্রহশালা ‘কলকাতা মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট’, সংক্ষেপে ‘কেমোমা’। তার চূড়ান্ত নকশা আজ, শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করছে টাউন হলে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে। “সে দিক থেকে দেখলে টাউন হলই তো এই অনুষ্ঠানের পক্ষে আদর্শ স্থান। যে ‘কেমোমা’কে ঘিরে কলকাতা এবং গোটা দেশের শিল্পজগত একটি যুগান্তরের আশা করছে, তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘লঞ্চ’ করতে গেলে এমন একটি নাগরিক সম্মিলনই তো দরকার,” বললেন ‘কেমোমা’-র ম্যানেজিং ট্রাস্টি রাখী সরকার।
কলকাতা জানে, লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারি বা বেজিংয়ের ‘বার্ডস নেস্ট’ অলিম্পিক স্টেডিয়ামের মতো আশ্চর্য স্থাপত্যের রূপকার ‘হারজগ অ্যান্ড ডি মিউরোঁ’ সংস্থাই আছে ‘কেমোমা’-র নির্মাণের দায়িত্বে।
কলকাতা আজ জানবে, ঠিক কী রকম আকারে সেই বিশ্রুত সংস্থা রাজারহাটের দশ একর জমি জুড়ে গড়ে তুলতে চাইছে এই শিল্পশালার ভবিষ্যৎ রূপ। প্রস্তাবিত রূপটির কিছু আভাস মিলেছিল আগেই। আজ তারই ভাবী আকৃতিটির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ!
শুধু ভবিষ্যৎই বা কেন, ‘কেমোমা’ তো এখন রীতিমতো ঘটমান বর্তমান। সরকারি উদ্যোগ তো আছেই, পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ এবং দেশজুড়ে শিল্পীরাও এগিয়ে এসেছেন এই আয়োজনে, মনে করিয়ে দিচ্ছেন ‘কেমোমা’-র ম্যানেজিং ট্রাস্টি। আর্থিক সাহায্যের লিখিত প্রতিশ্রুতি এসেছে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং উদ্যোগের পক্ষ থেকে। শিল্পীদের দেওয়া ছবি থেকে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি টাকা উঠেছে এর মধ্যেই। শিল্পকাজ এসেছে আরও, আজ একটি ছোট্ট নিলামও দেখবে টাউন হল। “এই প্রকল্প শেষ হলে দেখবেন, শিল্প সম্পর্কে কলকাতা তো বটেই, গোটা দেশের ধারণাই পুরো বদলে যাবে,” উত্তেজিত শোনায় ‘কেমোমা’-র ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য, বিশিষ্ট শিল্পী যোগেন চৌধুরীর গলা, “এর পরে আমরাও বলতে পারব, আন্তর্জাতিক মানের শিল্পী শুধু নয়, শিল্পসংগ্রহশালাও আমাদের আছে।”
কলকাতাকে আন্তর্জাতিক আঙ্গিকে নিয়ে যাওয়ার একটি সূচনা হয়েছে। সেই কর্মযজ্ঞ যাঁর নেতৃত্বে, তিনি, মমতা বন্দোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। নিজে উপস্থিত থেকে দেখবেন, শিল্পক্ষেত্রে লন্ডন বা যে কোনও মান্য আন্তর্জাতিক নগরের মহড়া নেওয়ার জন্যই প্রস্তুত হচ্ছে কলকাতা। সৌজন্য, ‘কেমোমা’। |
|
|
|
|
|