|
|
|
|
দ্বারকানাথের কুঠির কাছেই খনি, বাধা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
খোলামুখ খনির হাত থেকে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত ভগ্নপ্রায় ভবন রক্ষার দাবিতে সরব হলেন গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি গ্রামের ঘটনা।
দামোদরের পাড়ে নারায়ণকুড়ির মথুরাচণ্ডী ঘাটের কাছে খোলামুখ প্যাচ তৈরির ঠিকা নিয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। এ দিন মাটি কাটার কাজ শুরু করে তারা। এই খবর পেয়েই কিছু গ্রামবাসী প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে এই কাজ বন্ধের আবেদন জানান। তাঁরা জানান, কার-টেগোর কয়লা কোম্পানি মথুরাচণ্ডী ঘাটের কাছে একটি অফিস করেছিল। ঘাটের কাছেই কয়লা পরিবহণের নৌকা রাখার জন্য জেটিও রয়েছে। দ্বারকনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই অফিস ও জেটি রক্ষার দাবিতে রাজ্য সরকারের কাছে বারবার আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোনও ফল হয়নি।
এ দিন দুপুরে বাসিন্দারা দেখেন, প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ওই ভবনের ১৫ ফুট দূরেই খনন হয়েছে। ভবনটি ভেঙে ফেলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় মহকুমাশাসক-সহ বিভিন্ন মহলে খবর দেন তাঁরা। বিকেল ৪টে নাগাদ ঘটনাস্থলে যান আসানসোলের মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আসানসোলের অধিকর্তা অঞ্জন ঘোষদাস এবং আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মহকুমাশাসক জানান, খননকারী সংস্থা দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেখাতে না পারায় তিনি কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে কুনস্তরিয়া এরিয়ার জিএম আর আর শর্মার সঙ্গে বৈঠক হয়। জিএম-কে বলা হয়, দূষণ নিয়ন্ত্রণ-সহ সব ধরনের ছাড়পত্র দেখানোর পরেই কাজ শুরু করা যাবে। এলাকাটি সংরক্ষণের ব্যাপারে উদ্যোগের আশ্বাস দিয়েছেন এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
|
|
|
|
|