|
|
|
|
অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • লাউদোহা |
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের কিছু বাসিন্দা। অভিযোগ, বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক বা তার বেশি যোগ্যতাসম্পন্নদের আবেদন করতে নিষেধ করা হয়েছিল। আরও বলা হয়েছিল, প্রার্থীকে অবশ্যই স্থানীয় বাসিন্দা হতে হবে। অথচ প্রকাশিত নিয়োগ তালিকার প্রায় অনেকেই স্নাতক। কয়েক জন এলাকার বাসিন্দাও নন। মহকুমাশাসক মৌমিতা বসু জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে।
২০০৯ সালে ব্লকের ৬টি পঞ্চায়েত এলাকার জন্য ব্লক সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের দফতরের তরফে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। তাতে বলা হয়, মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মহিলারা আবেদন করতে পারেন। বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার বলা হয়, স্নাতক (গ্র্যাজুয়েট) বা তদূর্ধ্ব শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরা এই পদের জন্য বিবেচ্য নন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পরে নিয়োগ তালিকা প্রকাশ হয়। প্রশিক্ষণের পরে নভেম্বরে ৪৩ জন সফল প্রার্থী যোগ দেন। পরে আরও কয়েক জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সফল প্রার্থীদের অনেকেই স্নাতক বা তার বেশি যোগ্যতার। কয়েক জন অন্য এলাকার প্রার্থীও রয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দা মুনমুন ঘোষ, মুকুল সামন্ত, মান্তু বাউরিরা সিডিপিও-র কাছে অভিযোগ জানান। স্নাতক হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচিতদের নামও জানান তাঁরা। কিন্তু কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, “সিডিপিও নিয়ম অগ্রাহ্য করে তালিকা তৈরি করেছেন।” সিডিপিও হলধর বর্মণ অবশ্য করে জানান, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি একা তালিকা তৈরি করিনি। ইন্টারভিউয়ের সময়ে আমি ছাড়াও বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বিধায়ক প্রতিনিধি, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ ৮ জন ছিলেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ ঠিক নয়।” বাসিন্দাদের দেওয়া স্নাতক উর্ত্তীণ প্রার্থীদের তালিকা যাচাই করেও অসঙ্গতি মেলেনি বলে দাবি হলধরবাবুর।
বাসিন্দাদের অবশ্য পাল্টা দাবি, হলধরবাবুর যুক্তি ঠিক নয়। তাঁরা প্রশাসনিক পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক মৌমিতা বসু বলেন, “গ্রামবাসীর অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|