|
|
|
|
বিশেষজ্ঞেরা ফের দেখতে আসবেন হিন্দুস্তান কেব্লস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
হিন্দুস্তান কেব্লস এর রূপনারায়ণপুর ইউনিট পরিদর্শন করে গেল অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের বিশেষজ্ঞ দল। কয়েক মাসের মধ্যেই ফের এক দল বিশেষজ্ঞের আসার কথা। বর্ধমান শিল্পাঞ্চলের এই কারখানায় কী ধরনের সামগ্রী উৎপাদন করা সম্ভব, তাঁরা পরীক্ষা করে দেখবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ সাত জনের দল কারখানা পরিদর্শনে যান। ঘণ্টাখানেক শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সেরে আবাসন কলোনি, হাসপাতাল, বাজার এলাকা, অজয়ের পারে পানীয় জল প্রকল্প এবং বহু বছর ফাঁকা ফাঁকা পড়ে থাকা শালিমার শেডও ঘুরে দেখেন তাঁরা। দুপুরে কারখানার শেড ও যন্ত্রপাতি খুঁটিয়ে দেখে কল্যাণেশ্বরী মন্দির ও মাইথন জলাধার ঘুরে দেখে তাঁরা ফিরে যান।
এ বারের বিশেষজ্ঞ দলটির চেয়ারম্যান ছিলেন প্রতিরক্ষা দফতরের ওয়েপনস (ভেহিক্যাল) কমিটির সদস্য এস কে বেরি। এ ছাড়া ছিলেন ডিফেন্স প্রডাকশনের সচিব রূপ সিংহ, ভারী শিল্প মন্ত্রকের সচিব এম আর বালি, অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল এইচ এস চাড্ডা, অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল (অর্থ বিভাগ) রবীন্দ্রম বিশ্বনাথন, হিন্দুস্থান কেব্লসের কর্পোরেট দফতরের সিএমডি এম কে গর্গ এবং কেব্লস কর্পোরেটের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর এস এল ঘোষ। তাঁরা অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কেব্লস সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক চললে পুজোর শেষে কারখানাটি অধিগ্রহণের প্রাথমিক কাজকর্ম সেরে ফেলতে পারে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড। লক্ষ্য থাকবে, ২০১৪ সালে উৎপাদন চালু করা। তবে বোর্ডের তরফে কেব্লস কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক নেতাদের কাছে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেমন, কারখানার শ্রমিক-কর্মীর সংখ্যা এখনকার ১০২৭ থেকে কমিয়ে উদ্বৃত্ত কর্মীদের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের ৪২টি ইউনিটে বদলি করা হবে। ইচ্ছুক শ্রমিক-কর্মীদের জন্য স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পও থাকবে। বকেয়া পাওনাগন্ডা মেটানোর দায় নেবে ভারী শিল্প মন্ত্রক।
এ দিনের বৈঠকে শ্রমিক নেতারাও উদ্বৃত্ত কর্মীদের বদলির বিরোধিতা করেননি। বরং পাওনাগন্ডা মেটানোর ব্যাপারেই তাঁরা জোর দেন। কেব্লস ইউনিটের আইএনটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক চরণজিৎ সিংহ এবং সিটু-র সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সাহাদের মতে, “কারখানা বাঁচাতে এখন যে কোনও রকম সুযোগের সদ্ব্যবহার করা উচিত।” রূপনারায়ণপুর ইউনিটের সিজিএম গৌতম ঘোষ বলেন, “এই দলটি এর পরে কেব্লসের হায়দরাবাদ ও নৈনি ইউনিট ঘুরে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে রিপোর্ট দেবে। তার পরেই পাকাপাকি একটা সিদ্ধান্ত হবে।” |
|
|
|
|
|