মুখ থুবড়ে পড়েছে কঠিন বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শহরের জঞ্জাল সমস্যা দূর করতে ‘সলিড-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ চালুর তোড়জোর হয়েছিল মেদিনীপুরে। কিন্তু সেই উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে। হামেশাই বড় রাস্তার ধারে জমতে থাকে আবর্জনার স্তূপ। দুর্গন্ধে টেকা দায়। পুরসভা তাই নতুন করে প্রকল্প চালুর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করা হবে। সেই জঞ্জাল থেকেই সার তৈরি করবে এক সংস্থা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমীক্ষার কাজ শুরু হবে।” পুরপ্রধান-পারিষদ (জঞ্জাল) সুনন্দা খানের কথায়, “বোর্ড মিটিংয়েও সলিড-ওয়েস্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমে কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। পরে অন্যত্রও কাজ চলবে।”
জেলার সদর শহর মেদিনীপুর। ক্রমবর্ধমান বসতি, বাড়তি জনসংখ্যাসব মিলিয়ে দ্রুত বদলাচ্ছে শহরের চেহারা। আবর্জনার সমস্যাও বাড়ছে। ছড়াচ্ছে দূষণ। ধর্মায় পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড রয়েছে। শহরের যাবতীয় আবর্জনা শেষমেশ এখানে এনেই ফেলা হয়। কিন্তু এখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এক সময়ে ধর্মার বদলে কেরানিচটিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির তোড়জোর হয়েছিল। এ নিয়ে মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে পুর-কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক কথাও হয়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। আর কাজ এগোয়নি। শহরের বহু এলাকায় ভ্যাট আছে। সেখানেই জঞ্জাল জমে। কিন্তু ভ্যাট থেকে আবর্জনা নিয়মিত সাফাই করা হয় না। অনেক ভ্যাটের চারদিক ঘেরা না থাকায় আবর্জনার স্তূপ রাস্তায় নেমে আসে। দুর্ভোগে পড়েন পথচলতি মানুষ।
আবর্জনা সাফাইয়ের ক্ষেত্রে নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মানছেন পুর-কর্তৃপক্ষও। জঞ্জাল সমস্যার সমাধানেই একটা সময় ‘সলিড-ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্প চালুর তোড়জোর হয়েছিল। মেদিনীপুরে মোট ২৪টি ওয়ার্ড। প্রাথমিক ভাবে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকল্পের কাজ শুরুও হয়েছিল বলে পুরসভা সূত্রের খবর। কিন্তু পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের ওই প্রকল্প চালুর ব্যবস্থা হচ্ছে। এ জন্য প্রতি বাড়িতে দু’টি করে পাত্র দেওয়া হবে। দু’টি দুই রংয়ের। একটিতে জৈব আবর্জনা থাকবে। অন্যটিতে অজৈব। পুরকর্মীরাই বাড়ি থেকে এই আবর্জনা সংগ্রহ করবেন। পরে তা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হবে। সেই আবর্জনা থেকে সার তৈরি হবে। কথা আগেও হয়েছে। আবারও হচ্ছে। কিন্তু কঠিন বর্জ্য-নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প চালু হবে তো? না ফের থমকে যাবে? সময়েই মিলবে এর জবাব। |
গোসাপে আতঙ্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুর দুয়ার |
একটি গোসাপ আলিপুরদুয়ার রেল জংশনের অফিসে ঢুকে পড়ায় সোমবার আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। সকাল ৯টা নাগাদ জংশন স্টেশনের পে অফিসে ভেতর প্রায় আড়াই ফুট লম্বা ওই গোসাপ ঢুকে পড়ে। পরে জংশন এলাকার পরিবেশ প্রেমী পিপলস ফর অ্যানিমেল সংস্থার সদস্যরা সেটিকে উদ্ধার করেন। সংস্থার পক্ষে শংকর ধর জানান, গোসাপটিকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। |
|