|
|
|
|
সম্পাদক সমীপেষু... |
‘আমাদের সামনে বন্দুক, পিছনে বন্দুক’ |
জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ হিসেবে সরকারের কিছু পদক্ষেপের সংবাদের প্রেক্ষিতে দু’একটি কথা। পূর্ববর্তী বাম সরকারের আমলে জনসাধারণের কমিটি ও মাওবাদীদের এক সারিতে বসানোর প্রচেষ্টা লক্ষ করেছি। মাওবাদী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যে কিছু ফারাক আছে, এই পদক্ষেপজনিত বিবৃতিতে তার উল্লেখ না দেখে শঙ্কিত বোধ করছি, এই সরকারও সেই একই পথের পথিক হয়ে পড়ছেন না তো? মূলত ঘরে ঘরে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে এবং স্থানীয় মানুষের আরও কিছু দাবি নিয়ে জনসাধারণের কমিটির জন্ম। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখছি, জঙ্গলমহলের সাধারণ মানুষ মাওবাদীদের দ্বারাও অত্যাচারিত। তাঁরা বলেছেন, ‘আমাদের ‘সামনে বন্দুক, পিছনে বন্দুক।’ সামনে প্রশাসনের বন্দুক, পিছনে মাওবাদীদের।
মিথ্যা মামলায় মাওবাদী আখ্যা দিয়ে সাধারণ ঘরের ছেলেদের যদি কারাবন্দি করা হয়, তা হলে কি সেই সহযোগিতা আশা করা যায়? খাদ্য সরবরাহ প্রশাসনের প্রাথমিক কর্তব্য। কিন্তু কেবল খাদ্য সরবরাহ করে এই জটিল পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষকে মাওবাদীদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে শান্তি ফেরানোর কোনও উদ্যোগ সফল হবে বলে মনে হয় না।
|
বোলান গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা-৩ |
|
|
|
|
|