|
|
|
|
ক্লাসঘরের টাকা হাতানোয় অভিযুক্ত সিপিএম নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কেতুগ্রাম |
খুনের হুমকি দিয়ে এক সিপিএম নেতা স্কুলের ক্লাসঘর তৈরির টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের। ওই নেতা, স্কুলেরই শিক্ষক তথা সিপিএমের কেতুগ্রাম ১ (উত্তর) লোকাল কমিটির সদস্য চাঁদগোপাল মাঝির হদিস অবশ্য পুলিশ পায়নি।
পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, কেতুগ্রামের কোমরপুর দক্ষিণপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসঘর তৈরির জন্য গত আর্থিক বছরে সর্বশিক্ষা মিশনের ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এর পরে বছর ঘুরে গেলেও ঘর তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেন। |
গত ১৩ জুন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রণবকুমার ঘোষাল কেতুগ্রাম ১ বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন, পরিচালন সমিতির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ছাড়াই ‘নিজ দায়িত্বে’ কাজ শুরু করেছিলেন শিক্ষক চাঁদবাবু। প্রধান শিক্ষক লিখেছেন, ‘উপায়বিহীন হয়ে আমি টাকা তুলে দিতে বাধ্য হই।’ কেতুগ্রাম থানায় দায়ের করা অভিযোগে তিনি জানান, চাঁদবাবু পিস্তল দেখিয়ে টাকা কেড়ে নিয়েছেন। এত দিন ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেননি। কেতুগ্রাম ১ স্কুল পরিদর্শক নাজমুল হুদাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিডিও তরুণ ভট্টাচার্য। স্কুলে গিয়ে কাগজপত্র দেখে ২৪ জুন বিডিও-কে রিপোর্ট দেন তিনি। তাতে বলা হয়, চাঁদগোপাল মাঝির হাতে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। তার মধ্যে ১,৩৭,৯৬০ টাকার হিসেব মিলেছে। ক্লাসঘরের প্লাস্টার ও মেঝে তৈরির কাজ এখনও হয়নি। |
চাঁদগোপাল মাঝি।
নিজস্ব চিত্র।
|
|
প্রণববাবুর অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই চাঁদবাবু পুরনো দরজা-জানলা খুলে নিয়ে গিয়েছেন। তবে স্কুল পরিদর্শক বলেন, “প্রধান শিক্ষকের ভূমিকাও আমরা খতিয়ে দেখছি।” তাঁর রিপোর্ট পাওয়ার পরেই গত ৪ জুলাই চাঁদগোপাল মাঝির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিডিও। এসডিপিও (কাটোয়া) জ্যোতির্ময় রায় বলেন, “মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত সিপিএম নেতা পলাতক।” সিপিএম অবশ্য অভিযোগ মানতে রাজি নয়। দলের ভাগীরথী-অজয় জোনাল কমিটির সদস্য ফারুক মির্জা ও তপন কাজির দাবি, “গোটা ব্যাপারটাই তৃণমূলের চক্রান্ত। ওদের অত্যাচারে আমাদের নেতা গ্রাম ছেড়েছেন। আর তৃণমূল সমর্থক প্রধান শিক্ষককে দিয়ে গল্প ফাঁদা হয়েছে।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রত্নাকর দে পাল্টা বলেন, “এলাকায় ‘অত্যাচারী’ বলে পরিচিত ওই নেতা দুর্নীতির কারণেই গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।” বারবার চেষ্টা করেও চাঁদবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |
|
|
|
|
|