|
|
|
|
তনুশ্রীর সাফল্যে খুশি মল্লিকপাড়াও |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²চাঁচল |
অর্থাভাবে টিউশন নিতে পারেননি। দুই ছেলেমেয়ের খাতা-কলমের খরচ জোগাড় করা আর সংসার চালাতে গিয়েই প্রতিদিন হিমসিম খেতে হয় পেশায় সাইকেল মেকানিক বাবাকে। এমন অভাবের মধ্যেও উচ্চ মাধ্যমিকে ৮৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মালদহের চাঁচলের দক্ষিণপাকা মল্লিকপাড়া স্কুলের ছাত্রী তনুশ্রী শাঁখারি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৩০। তনুশ্রীর বিষয় ভিত্তিক নম্বর হল বাংলায় ৮৩, ইংরেজিতে ৮৩, ইতিহাসে ৮০, ভুগোলে ৯৩ এবং দর্শনে ৯১। অভাবি পরিবারের মেয়ের এমন সাফল্যে খুশি এলাকার বাসিন্দারা। যদিও ভাল ফল করার পরেও উচ্চ শিক্ষার খরচ কোথা থেকে জোগাড় হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তনুশ্রীর পরিবারের লোকেরা। ভবিষ্যতে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে তনুশ্রী স্কুল কিংহা কলেজে শিক্ষকতা করতে চান। ওই ছাত্রী বলেন, “বাবার সামর্থ্য সীমিত। কী হবে জিন না।”
২০০৯ সালে চাঁচলের এই স্কুল উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়। এ বারই প্রথম এই স্কুলের ৬৮ জন পরীক্ষায় বসেন। তাঁদের মধ্যে ৫৫ জন পাশ করেছে। স্কুলের আরও ৯ ছাত্রছাত্রী ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন। মাধ্যমিকেও ওই স্কুল থেকে তনুশ্রী ভাল ফল করেছিলেন। পরে অর্থাভাবে জেলার ভাল স্কুলে ভর্তি হতে পারেননি। মল্লিকপাড়ার জীর্ণ পাকা বাড়িতে বাস করেন তনুশ্রীর পরিবারের। সর্বত্র অভাবের ছাপ। গ্রামেই সাইকেল মেরামতির দোকান বাবা দ্বিজেশ শাঁখারির। তিনি বলেন, “গ্রামে বসে সাইকেল সারাই করে সংসার চালানোর পরে দুই ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করার কঠিন। কী ভাবে তনুশ্রীর উচ্চ শিক্ষার খরচ জোগাড় হবে জানি না।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ কুবাদ আলি বলেন, “প্রত্যন্ত এই স্কুলের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। প্রতিটি পড়ুয়ার জন্য আমরা যত্ন নিয়েছিলাম।” |
|
|
|
|
|