মেধাবীদের বিশেষ যত্ন নেওয়ায় ভাল ফল
র্তির সময় থেকেই মেধাবীদের প্রতি বাড়তি যত্নবান হওয়াতেই উচ্চ মাধ্যমিকে এ বার অভাবনীয় সাফলে মিলেছে বলে মনে করছেন কোচবিহারের দিনহাটার শিক্ষক মহল। শনিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরে দেখা গিয়েছে, দারুণ ফল করেছেন দিনহাটা শহরের একঝাঁক ছেলেমেয়ে। দিনহাটা হাই স্কুলের ছাত্র সৌমেন সাহা ৪৭১ নম্বর পেয়েছেন। দিনহাটারই সোনি দেবী জৈন স্কুলের ছাত্রী পল্লবী কর্মকার ৪৬৮ এবং নিবেদিতা রায় প্রামাণিক ৪৬৫ নম্বর পেয়েছেন। ওই তিন ছাত্রছাত্রীই সংসদের মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন।
দিনহাটা হাই স্কুলের ছাত্র জয় সাহা (৪৬১)-সহ চারশোর উপরে নম্বর পেয়েছেন ১০ জন। সোনি দেবী জৈন হাইস্কুলের অম্বরীশ রায় (৪৫০)-সহ চারশোর বেশি নম্বর পেয়েছেন ৩৫ জন। তাঁদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ২০, কলা বিভাগে ১০ এবং বাণিজ্য বিভাগে ৫ জন রয়েছেন। ভাল ফলাফল হয়েছে শহরের দিনহাটা গার্লস হাই স্কুল, গোপালনগর এমএসএস এবং স্টেশনপাড়া শরণার্থী স্কুলেরও। পাশের হার বিচার করলে রাজ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে কোচবিহার। সেই জেলার দিনহাটা শহরের ছেলেমেয়েদের এমন সাফল্যে খুশির জোয়ার বইছে সর্বত্র। রবিবার সৌমেন, পল্লবী এবং নিবেদিতাকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁদের বাড়িতে যান রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। শনিবার কৃতীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন নাটাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং দিনহাটার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক উদয়ন গুহ। দিনহাটার পুর চেয়ারম্যান ওই দিন ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা জানানোর কথা ঘোষণা করেছেন।
অথচ স্কুলগুলির প্রতিটিতেই পরিকাঠামো নিয়ে সমস্যা আছে। দিনহাটা হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। শিক্ষক আছেন ৩৩ জন। বাংলা বিভাগে একটি শিক্ষক পদ শূন্য। ১৯টি সেকশনের প্রতিটিতে গড়ে শতাধিক পড়ুয়াকে ক্লাস করতে হয়। মেধাবীদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার কাজ এই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু হয়। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক সব্যসাচী মিত্র বলেন, “ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত কমানো গেলে আরও ভাল ফল হবে।”
দিনহাটা সোনি দেবী জৈন হাই স্কুলে দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পড়াশোনা একজন মাত্র শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে। পদার্থবিদ্যার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন। স্কুলে ল্যাবরেটরির আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। লাইব্রেরি পরিকাঠামোও তেমন উন্নত নয়। তার পরেও ওই স্কুলের দুই ছাত্র পল্লবী এবং নিবেদিতা সংসদের মেধা তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজিত সাহা বলেন, “১৮০০ ছাত্রছাত্রীর স্কুলের একাধিক বিষয়ে মাত্র একজন করে শিক্ষক রয়েছে। পর্যাপ্ত বেঞ্চ, ফ্যান নেই। তার পরেও পল্লবী, নিবেদিতার মতো ৩৫ জন ছাত্রছাত্রী চারশোর উপরে নম্বর পেয়েছে। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর উপরে আমরা যে বাড়তি নজর দিই, এটা তারই স্বীকৃতি।” পল্লবী কর্মকারও বলেন, “স্কুলের সমস্ত শিক্ষক প্রথম থেকে নানা ভাবে সাহায্য করেছেন। স্কুলে ল্যাবরেটরি, সাইব্রেরি উন্নত হলে আরও ভাল ফল হবে।”
Previous story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.