|
|
|
|
বাংলাদেশে আটক ট্রাক চালকদের উদ্ধারে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²মালদহ |
তোলা আদায়ের প্রতিবাদ করায় ফের বাংলাদেশের সোনা মসজিদ এলাকায় তিনশো ভারতীয় ট্রাক চালক ও খালাসিকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। রবিবার দুপুরের ওই ঘটনার জেরে মালদহের মহদিপুর থেকে রফতানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মহদিপুরে আটকে পড়েছে পণ্য বোঝাই প্রায় সাড়ে ৩০০ ট্রাক। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের মালদহের জেলা প্রশাসন ও বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।
মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কয়েকজনকে মারধর করার পরে তিনশোর বেশি ট্রাক চালক ও খালাসিকে বাংলাদেশে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। আটক ট্রাক চালক ও খালাসিদের মুক্ত করার ব্যাপারে বিএসএফ এবং প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। মহদিপুরে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।” জেলাশাসক রাজেশ সিংহ বলেন, “মহদিপুরের ঘটনা মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।” গত ২৬ মে সোনা মসজিদ এলাকায় এক ট্রাক চালককে মারধর করার পরে স্থল বন্দরের কিছু নিরাপত্তা কর্মী প্রায় ২০০ জন ভারতীয় চালক ও খালাসিকে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ উঠলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় রফতানি বাণিজ্য। দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় সমস্যা মেটে। ফের এমন ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে সোনা মসজিদ এলাকার কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী ভারতীয় চালকদের কাছে টাকা দাবি করলে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই নিরাপত্তা কর্মীদের নিগ্রহের শিকার হন আজহারউদ্দিন নামে এক চালক-সহ ৯ জন। তাঁদের উদ্ধার করে মহদিপুরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও বাংলাদেশের ওই নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীদের একাংশ ৩০০ ভারতীয় চালক ও খালাসিকে আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ। মহদিপুরে নিগৃহীত চালকেরা ফিরতেই উত্তেজনা বেড়ে যায়। চালক এবং খালাসিরা রফতানি বন্ধ করতে অবরোধে নেমে পড়েন।
মহদিপুর সীমান্ত ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জালুস শেখ বলেন, “আগের বার গোলমাল হলে দুই দেশের প্রশাসনিক কর্তারা ভারতীয় ট্রাক চালকদের নিরাপত্তা এবং তোলাবাজি বন্ধ করার ব্যাপারে আশ্বাস দেন। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। জুলুমবাজি বন্ধ না-হওয়া পর্যন্ত রফতানি বন্ধ থাকবে।” ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কো অর্ডিনেশন সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, “সোনা মসজিদ এলাকার ওই নিরাপত্তা সংস্থাও ট্রাক চালকদের উপরে জুলুম বন্ধের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু সংস্থার কর্তারা কথা রাখেননি। বার বার এই ধরনের হামলার ঘটনা মানা যায় না। রফতানি বন্ধ হলে দু’দেশেরই ক্ষতি। বাংলাদেশের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া রফতানি বাণিজ্য ফের চালু করা সম্ভব নয়।” |
|
|
|
|
|