|
|
|
|
কল থাকলেও সমস্যা মেটেনি, জলসঙ্কট তীব্র কাকদ্বীপের গ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²কাকদ্বীপ |
জলের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় ভোর রাত থেকে। জল নেওয়াকে কেন্দ্র করে নিত্য নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই রয়েছে। কাকদ্বীপের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা এতটাই প্রবল যে ট্যাপের জল সংগ্রহ করতে রোজ হিমসিম খেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। পঞ্চায়েত সমিতি ও জনস্বাস্থ্য দফতরকে একাধিকবার জানালেও ট্যাপকলের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের একাংশকে একটি মাত্র ট্যাপকল। জামা কাপড় কাচা থেকে বাসন মাজা, স্নান সবই চলে ওই ট্যাপ কলের জলে। বছরের অন্যান্য সময় পুকুরের জল কিছুটা ব্যবহার করতে পারলেও গরমে পুকুরের জল শুকিয়ে যাওয়ায় সে সুযোগ থাকে না। ফলে সকলকেই নির্ভর করতে হয় ট্যাপকলের জলের উপর। যে কারণে জলের সমস্যা আরও চরমে পৌঁছয়। |
|
ছবি: দিলীপ নস্কর। |
সকাল থেকে সন্ধ্যা, তিন বার জল সরবরাহ করা হলেও জলের চাপ এতই কম যে তাতে প্রয়োজন মেটে না। বাসিন্দদের অভিযোগ, জল এত সরু হয়ে পড়ে যে কলের সামনে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। এক বালতি জল নিতে ঘণ্টা কেটে যায়। তার উপর বেশিরভাগ সময়েই লোডশেডিং থাকায় পাম্প বন্ধ থাকে। ফলে সঙ্কট আরও বাড়ে। তখন সকলকেই ছুটতে হয় দূরে নলকূপ থেকে জল আনতে। পানীয় জল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলে আসছে। প্রতিবারই ভোটের মুখে সব দলের নেতা এসে ট্যাপ কলের সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু আজ পর্যন্ত সমস্যা মেটেনি। কাকদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি দীপক পাত্র বলেন, “বিভিন্ন তহবিল থেকে অর্থের সংস্থান করে নলকূপ বসিয়ে জলের সমস্যা মেটানো হয়েছে। ধীরে ধীরে ট্যাপকলের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।” কাকদ্বীপের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সহকারী বাস্তুকার সুকুমার মহাপাত্র বলেন, “সারাদিন পাঁচ ঘন্টা জল সরবরাহ হয়। জলের লাইনে সমস্যা হলেই কর্মী পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবুও জলের সমস্যা নিয়ে কেউ যদি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তা হলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব।” |
|
|
|
|
|