|
|
|
|
‘দাদা’ই প্রেরণা লড়াকু দীপায়নের |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²তমলুক |
প্রথম বেঞ্চে বসেও ব্ল্যাকবোর্ডের লেখা তার চোখে স্পষ্ট ধরা দিত না। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই ক্ষীণ হচ্ছিল দৃষ্টিশক্তি। তবু অদম্য ইচ্ছে থামিয়ে দেয়নি তমলুকের মালিজঙ্গলপাড়ার দীপায়ন চক্রবর্তীকে। দু’চোখের করনিয়া পাল্টাতে হয়েছে। অসুখে নাম ‘কনজিটাল করনিয়াল ডিসট্রফি’। এই প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়েই উচ্চ মাধ্যমিকে দীপায়ন পেয়েছে ৪০১। রাইটারের সাহায্য নেয়নি হ্যামিল্টন হাইস্কুলের ছাত্র। প্রিয় বিষয় অঙ্কে পেয়েছে ৯৪। ভবিষ্যকে অঙ্কের শিক্ষক হতে চায় দীপায়ক। মাধ্যমিকেও সে ভাল ফল করেছিল। তবে তখনও অস্ত্রোপচার করতে হয়নি। মাধ্যমিকের পরই হায়দরাবাদে দীপায়নের বাঁ চোখের করনিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়। ২০১০ সালে ডান চোখের করনিয়াও প্রতিস্থাপিত হয়। চিকিৎসার স্বার্থে বারবার স্টেরয়েড নেওয়ায় বাঁ চোখে ফের ছানি পড়েছে। ফের অস্ত্রোপচার করতে হবে। বাবা রেলকর্মী প্রশান্তবাবু ও মা কবিতাদেবী জানালেন, চিকিৎসার জন্য অর্থব্যয় যেমন আছে, তেমনই বছরের অনেকটা সময় পড়ার ক্ষতি হয়। উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টের পর দীপায়নকে যেতে হয়েছিল হায়দরাবাদে। দিনে চার ঘণ্টার বেশি পড়তে পারেনি। দীপায়নের প্রেরণা বারবার ‘কাম-ব্যাক’ করা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তার কথায়, “দাদার লড়াই আমাকে প্রেরণা দেয়। ওঁর সঙ্গে কখনও দেখা হলে স্বপ্নপূরণ হবে।” দীপায়নের স্কুলের প্রধান শিক্ষক সোমনাথ মিশ্র জানালেন, তাঁদের স্কুলে দীপায়নের মতো ছাত্রের পড়ার পরিকাঠামো নেই। তারই মধ্যে সফল হয়েছে এই লড়াকু ছাত্র। |
|
|
|
|
|