|
|
|
|
পাঁশকুড়া পুর এলাকায় ‘লিড’ কমল তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²তমলুক |
২০০৭-এর নন্দীগ্রাম-আন্দোলন পর্বে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রথম ‘পরিবর্তন’ সূচিত হয়েছিল পাঁশকুড়া পুরসভায়। বামেদের হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল-জোট। ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টিতে জিতেছিলেন জোট প্রার্থীরা। ৭টিতে বামেরা। সামনের বছরেই ফের ভোট পাঁশকুড়া পুরসভায়। ইতিমধ্যে জোট-পরিচালিত পুরবোর্ডের কাজকর্ম নিয়ে অবশ্য নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। আর সম্ভবত সে কারণেই ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পুর-এলাকায় তৃণমূল -জোটের যা ‘লিড’ ছিল, সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে তা অনেকটাই কমে এসেছে।
বিধানসভা নির্বাচনে পাঁশকুড়া পুর-এলাকার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতে জোট এগিয়ে থাকলেও সামগ্রিক ভাবে ‘লিড’ অনেকটাই কমেছে। বিধানসভা নির্বাচনে পাঁশকুড়া পুর-এলাকায় জোট-প্রার্থী পেয়েছেন ১৪,২৯৯ ভোট। বাম-প্রার্থীর প্রাপ্তি ১২,৩৬৯ ভোট। অর্থাৎ সাকুল্যে মাত্র ১৯৩৫ ভোটের ‘লিড’ তৃণমূল জোটের। অথচ ২০০৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও পুর-এলাকায় জোটের ‘লিড’ ছিল প্রায় ২৭০০ ভোটের। দু’বছরের মধ্যে ‘লিড’ কমেছে ৮০০ ভোটের। ভোটার-সংখ্যার সামগ্রিক বৃদ্ধি হিসাবে রাখলে, জোটের ভোট-হ্রাস তাৎপর্যপূর্ণ। এমনিতে পশ্চিম পাঁশকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট লোকসভায় জোট-প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার বেশি। কিন্তু পুর-এলাকায় জোটের ভোট যথেষ্টই কমেছে।
জেলা নির্বাচন দফতর ও দলীয় হিসাব অনুযায়ী, পাঁশকুড়া পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের দখলে থাকা ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫এই দশটি ওয়ার্ড ছাড়াও সিপিএমের দখলে থাকা ১ নম্বর ওয়ার্ডেও এ বারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। পুর-এলাকায় ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টিতেই এগিয়ে জোট। বরং বামেরা এগিয়ে মাত্র ৬টি ওয়ার্ডে, তাদের দখলে থাকা পুরসভার ৭টি ওয়ার্ডের চেয়েও একটি কম। কিন্তু ২০০৯-এর লোকসভা ভোটের তুলনায় প্রায় সব ওয়ার্ডেই জোটের ভোট কমেছে। সামগ্রিক ভাবে লোকসভা ভোটের তুলনায় পুর-এলাকায় জোট কিছুটা বিপাকেই। তাতেই আসন্ন পুর-নির্বাচন ঘিরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তাঁরা এ জন্য দায়ী করছেন পুরবোর্ডের খামতিকেই। পুরভোটের আগে হাতে রয়েছে এক বছর। খামতি কাটিয়ে ‘জনচিত্ত-জয়’ই পুর-ক্ষমতা ধরে রাখার একমাত্র পথ বলে মানছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। কাজটা যে সহজ নয়, তা-ও মানছেন তাঁরা। বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের জেলায় এক বছরের মধ্যেই ‘কঠিন’ পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে জোটকে। |
|
|
|
|
|