স্টেশনের পুরনো গাছের পরিচর্যা |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² নবদ্বীপ |
সেটা ১৭৩০ সাল। মারোয়ারের রাজা তাঁর রানির জন্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন মনস্থ করেছেন। আর সে কারণে বেচে দিয়েছেন রাজস্থানের সব থেকে মনোরম বনভূমি। রাজার নির্দেশে বিশাল বনভূমি চিহ্নিত করে শুরু হয় বৃক্ষ নিধন। সেখানেই উঠবে মারোয়ার মহিষীর প্রাসাদ। খবর পৌঁছল অমৃতা সিংহ দেবীর কাছে। তিনি সে কথা মানতে রাজি নন। তিনি বাধা দিলেন। সে কথা কেউ শুনলো না। তিনি তখন ছুটে গেলেন সেই বনভূমিতে। গাছ কাটতে বাধা দিলেন নিজে সামনে দাঁড়িয়ে। ক্ষুব্ধ মারোয়ার রাজ নির্দেশ দিলেন একটি গাছের সঙ্গেই অমৃতাদেবীকে বেঁধে এক সঙ্গে কেটে ফেলতে। তাই হল। অমৃতাদেবীর রক্তে ভেজা মাটিতে তারপরে উঠল মারোয়ার রাজের প্রাসাদ। কালের নিয়মে একদিন সেই প্রাসাদ ভেঙেও পড়ল। কিন্তু কালের সীমানা পার করে কিংবদন্তি হয়ে রয়ে গেলেন অমৃতাদেবী। |
|
পরিবেশ দিবসে স্টেশনে বৃক্ষরোপণ। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য। |
পরিবেশ রক্ষায় তিনিই প্রথম শহিদ, এমনটা দাবি করা হয়। তাঁর কথা মনে রেখেই নবদ্বীপে বাংলার মুখ কবি পরিষদ ৫ জুন রবিবার নবদ্বীপ অঞ্চলের ‘অসুস্থ’ গাছের পরিচর্যা করলেন। শুরুটা হল নবদ্বীপ রেলস্টেশন চত্বরে। ব্যান্ডেল-কাটোয়া রেলপথের নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে বেশ কয়েকটি গাছ রয়েছে। তার তিনটির বয়স শতবর্ষ পুরনো। সেই গাছগুলিকে ওষুধ দেওয়া হয়। বিরাট শোভাযাত্রাও করা হয়েছে। তাতে যোগ দিয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরাও। স্টেশনে এই উদ্যোগে সোৎসাহে যোগ দিয়েছিলেন ট্রেনের যাত্রীরাও। |
|