|
|
|
|
মুর্শিদাবাদে প্লাস্টিকের চায়ের কাপ বর্জনের ডাক তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² বহরমপুর |
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে জেলা জুড়ে প্লাস্টিক-জাত যাবতীয় চায়ের কাপ বর্জনের ডাক দিলো মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস থেকেই ওই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে পূর্ত দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত সাহা জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। এছাড়াও বর্ষার আগে জরুরি ভিত্তিতে হরিহরপাড়া, কান্দির গাঁতলা ঘাট, ভগবানগোলার বেশ কিছু রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরুর কথা বলেন সুব্রতবাবু।
এ দিন বহরমপুরে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এ জেলার তৃণমূলের একমাত্র প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, “প্লাস্টিকের তৈরি সমস্ত চায়ের কাপ ব্যবহার বন্ধের জন্য জেলা জুড়ে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছেও প্লাস্টিকের চায়ের কাপ ব্যবহার না করার জন্য আবেদন করছি। সেই সঙ্গে প্লাস্টিকের বদলে মাটির ভাঁড়ের ঐতিহ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসার উপরে জোর দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গেও আমার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মাটির ভাঁড় চালু হলে গ্রামীণ কুটির শিল্পের উন্নতির পাশাপাশি মৃৎশিল্পীদেরও আর্থিক সুরাহা হবে।” প্রসঙ্গত, এর আগে মুর্শিদাবাদ জেলার ৭টি পুরসভার মধ্যে বহরমপুর পুর-কর্তৃপক্ষ পুরসভা এলাকায় প্লাস্টিকের তৈরি সমস্ত উপকরণের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। প্লাস্টিক-জাত চায়ের কাপ ব্যবহারের জন্য জরিমানাও করে তারা। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস জেলা জুড়ে প্লাস্টিকের তৈরি চায়ের কাপ বর্জনের ডাক দেওয়ায় অন্য মাত্রা এনেছে। পূর্ত দফতরের প্রতিমন্ত্রীর কথায়,“বর্ষার আগে জরুরি ভিত্তিতে জেলার বেশ কিছু এলাকার রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারেও জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সেই সঙ্গে বর্ষার সময়ে ময়ূরাক্ষী জলাধার থেকে জল ছাড়া হলে তার ৭২ ঘন্টা আগে যেন জেলাপ্রশাসনকে জানানো হয় এবং সেই মত জেলাপ্রশাসন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত গ্রামবাসীদের সেই কথা জানাতে পারে, সে ব্যাপারে জেলাশাসককে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।’’ সুব্রতবাবু বলেন, “কেননা, ময়ূরাক্ষী জলাধার থেকে ছাড়া জলে প্রতি বছর কান্দি মহকুমা এলাকায় বন্যা দেখা যায়। আগামী জল ছাড়ার কথা জানতে পারলে সাধারণ গ্রামবাসীরা এলাকা ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে পারবে। তবে কান্দির বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেছেন।”
এর পাশাপাশি ডোমকল এলাকার ৩০০ জন কংগ্রেস, সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মী-সমর্থক এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়াক কথা ঘোষণা করেন। সুব্রতবাবু বলেন, “এখন প্রায় প্রতি দিনই বিভিন্ন দলের কর্মী-সমর্থক তৃণমূল যোগ দেওয়ার জন্য আসছেন। প্রতি রবিবার সকালে বহরমপুরে তৃণমূল জেলা কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এ দিনও ডোমকল এলাকার ৩০০ জন কর্মী-সমর্থক কংগ্রেস, সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে আমাদের দলে নাম লিখিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|