|
|
|
|
দু’টি করে গাছ লাগান, পরামর্শ মেয়রের |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পরিবেশ বাঁচাতে বাসিন্দাদের দু’টি করে গাছ লাগানোর পরামর্শ দিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে রবিবার বিকালে শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন (ন্যাফ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ওই পরামর্শ দেন তিনি। মেয়র বলেন, “শহরের বাসিন্দারা নিজেদের বাড়িতে যদি অন্তত ২ টি গাছ লাগান শহরের পরিবেশ রক্ষায় তা অনেক উপকারে আসবে। পুরসভার তরফেও বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।”
এ দিন ‘অরণ্য, সকলের পরিষেবায় প্রকৃতি’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভা হয়। উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের বিশেষ মুখ্য বনপাল পপ শেরিং ভুটিয়া, উত্তরবঙ্গের বনপাল মণীন্দ্রচন্দ্র বিশ্বাস-সহ অনেকেই। ওই অনুষ্ঠানটি ছাড়াও এ দিন উত্তরবঙ্গ জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। কোথাও আয়োজন করা হয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, কোথাও প্রকৃতি বিষয়ক ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা আবার কোথাও র্যালি! জেলাগুলিতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা, অনেক পুরসভা এ দিনটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়।
এ দিন শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগেও পরিবেশ সচেতনতায় র্যালি বের করা হয় বাঘাযতীন পার্ক থেকে। মেয়র, পরিবেশ এবং সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক-সহ স্কুল পড়ুয়ারাও তাতে অংশ নেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে মহানন্দা বাঁচাও স্লোগান তুলে মিছিল হয়। মাটিগাড়ায় বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে দৃষ্টিহীন পড়ুয়ারা গাছ লাগান। শিলিগুড়ির অদূরে দাগাপুরের বসুন্ধরায় প্রায় এক হাজার গাছ লাগানোর কর্মসূচি নেন কর্মকর্তারা। বিগত বছরে গাছ বাঁচানো এবং পরিবেশ বান্ধব কাজ করার জন্য শিশু কিশোরদের পুরস্কার দেওয়া হয়। |
|
আলোচনাসভায় গঙ্গোত্রী দত্ত। নিজস্ব চিত্র। |
আলিপুরদুয়ারে বীনাপাণি শিশু নিকেতনের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শোভাযাত্রা হয়। পার্থেনিয়াম আগাছা নির্মূল অভিযান-সহ স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এলাকায় গাছ লাগান কামাখ্যাগুড়ি নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। ইকো কেয়ার সংস্থার উদ্যোগে ৩৩ জন ব্যাক্তিকে চোরাশিকার ছেড়ে দেওয়ার শপথ পাঠ করানো হয়। ডুয়ার্সের মাঝের ডাবরি চা বাগানে একটি অনুষ্ঠানে চোরাশিকারিরা শিকার করার সরঞ্জাম পুড়িয়ে ফেলেন।
ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠন নেচার অ্যাণ্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির উদ্যোগে এ দিন বৃক্ষরোপন করা হয়। সংগঠনের সহ সম্পাদক নাফসার আলি জানান, দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করার জন্যই তাঁরা ওই কর্মসূচি নিয়েছেন। বালুরাঘাটে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করে সরস্বতী শিশু মন্দির স্কুল। শহরের কংগ্রেস পাড়ায় স্কুল ঘরে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণির কচিকাঁচারা পরিবেশ সচেতনতার উপর নিজেদের তৈরি নানা মডেল ও ছবি নিয়ে হাজির হয়। দিশারী সংকল্পের উদ্যোগে বালুরঘাট শহরের তহবাজারে বাজার ফেরত বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ নিয়ে চটের ব্যাগ তুলে দেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। বালুরঘাটের বাইকার্স অ্যাডভেঞ্চার সংস্থার ৭ জন সদস্য দূষণমুক্ত পরিবেশের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এ দিন শহর থেকে লাদাখের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
রায়গঞ্জে হিমালয়ান মাউন্টেনার্স অ্যান্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কুলিক পক্ষিনিবাসে সাফাই অভিযান হয়। বন দফতরের কর্তাদের সহযোগিতায় সেখানে কচিকাঁচাদের নিয়ে প্রকৃতিপাঠের শিবির হয়েছে। রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে পরিবেশ সচেতনতায় প্রচার র্যালি হয়। কর্ণজোড়া হাই স্কুলে আয়োজন করা হয়েছিল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা এবং পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার। |
|
|
|
|
|