টুকরো খবর

চিতাবাঘের আতঙ্ক ডুয়ার্সে
চা বাগানে চিতাবাঘের হানায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রবিবার দুপুরে ডুয়ার্সের শ্রীনাথপুর চা বাগানে চিতাবাঘটিকে ফ্যাক্টরি লাইনের একটি গাছের ডালে দেখতে পান শ্রমিকেরা। শ্রমিকরা চিৎকার শুরু করলে সেটি চা বাগানের গভীরে ঢুকে পড়ে। দুপুরে চা বাগানের একটি ছায়া গাছের ডালে সেটিকে ফের দেখা যায়। খবর পেয়ে বনকর্মীরা যান। ভিড় বাড়তে থাকে উৎসুক মানুষের। চিৎকার করলেও সেটি গাছ থেকে নামছিল না। বেশ কয়েকদিন ধরেই চিতাবাঘাটি শ্রমিক মহল্লায় ঢুকে ছাগল, বাছুর, খরগোশ খাচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। বক্সা ব্যাঘ্রপ্রকল্পের পূর্ব রাজাভাত খাওয়ার রেঞ্জার ভবেন বসুমাতা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই চিতাবাঘটি এই বাগানের শ্রমিক মহল্লায় হানা দিচ্ছে। তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কয়েকটি ছাগল, বাছুর, খরগোশও খেয়েছে পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘটি। তিনি বলেন, “চিতাবাঘটি গর্ভবতী বলে মনে হচ্ছে। সেটি দরতে খাঁচা পাতা ছাড়া উপায় নেই। সন্ধ্যের মধ্যে সেটি না নামলে খাবারের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হবে। বাচ্চা প্রসব করার জন্যই চিতাবাঘটি সম্ভবত চা বাগানে আশ্রয় নিয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দা বুলুচিক বরাইক দাবি করেন, চিতাবাঘটি এই ক’দিনে ১০ টি ছাগল, ৩ টি বাছুর খেয়েছে। তাই সকলেই আতঙ্কে রয়েছেন।

১২ বছরে ২০০টি বাঘ মেরেছে চোরাশিকারিরা
বাঘ বাঁচাও আন্দোলনে এখন যোগ দিয়েছেন বহু প্রকৃতিপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু চোরাশিকারিদের দিক থেকে দেশের জাতীয় পশুর বিপদ কমেনি। গত ১২ বছরে বিভিন্ন এলাকায় চোরাশিকারিদের হাতে ২০০টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। তথ্যের অধিকার আইনে করা এক প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালে রাজস্থানের সারিস্কা ও ২০০৮ সালে মধ্যপ্রদেশের পান্না থেকে বাঘ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। চোরাশিকারই এই পরিস্থিতির অন্যতম কারণ। চোরাশিকারের বিভিন্ন মামলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার রিপোর্ট অবশ্য কেন্দ্র প্রকাশ করেনি। কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রক জানিয়েছে, রিপোর্টগুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাতে রয়েছে। চোরাশিকারিদের বিরুদ্ধে ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

পরিবেশদিবস পালন
রবিবার রাজগঞ্জ বিবেকানন্দ চ্যারিটেবল ইউনিটের তরফে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ পালন করা হল রাজগঞ্জে। পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে এলাকায় একটি পদযাত্রাও বার করা হয়। সংস্থার তরফে এ দিন এবছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংস্থার সম্পাদক দীপঙ্কর দে জানান, সংস্থার সদস্যরা ছাড়া এলাকার বিভিন্ন ক্লাব ও স্থানীয় রাজগঞ্জ এমএন হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এতে অংশ নেয়।

সাপের ছোবলে মৃত্যু স্বামী-স্ত্রীর
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে শনিবার রাতে ঘরের মেঝেয় ঘুমিয়েছিলেন স্বামী। পাশে শুয়ে বছর দেড়েকের মেয়েটিও। সর্পদষ্ট হন স্বামী-স্ত্রী। রবিবার সকালে মারা যান বসিরহাটের মুকুন্দকাটি গ্রামের বাসিন্দা নেসার আহমেদ (২৫) এবং আকলিমা বিবি (১৮)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় গাড়ি চালক নেসারের পৈত্রিক বাড়ি গোয়ায়। কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকার সময়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় আকলিমার। পরে বিয়েও হয়। ক’দিন আগে বউ-বাচ্চাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বসিরহাটে এসেছিলেন নেসার। ইটের গাঁথনি দেওয়া টালির চালার শ্বশুরবাড়ির মেঝেয় শনিবার সস্ত্রীক ঘুমিয়ে ছিলেন নেসার। প্রবল গরম থাকায় মশারি টাঙাননি। গভীর রাতে সাপটি প্রথমে আকলিমার আঙুলে দাঁত বসায়। পরে ছোবল মারে নেসারের হাঁটুতে। আত্মীয়-প্রতিবেশীরা দু’জনকে নিয়ে যান বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই ভোর ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয় আকলিমার। সকাল ৮টা নাগাদ মারা যান তাঁর স্বামী। দেহ দু’টি ময়না-তদন্তের পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মজিদ সর্দার বলেন, “গ্রামের মানুষ এই ঘটনায় মর্মাহত। গোয়ায় নেসারের বাবাকে খবর পাঠানো হয়েছে। আপাতত নেসার-আকলিমার ছোট্ট মেয়েটিকে দেখাশোনা করছে তার দাদু গফ্ফর মিস্ত্রি।

কাঠকল বন্ধে অভিযান
জেলার অবৈধ কাঠকলগুলির বিরুদ্ধে রবিবার থেকে অভিযান শুরু করল বনদফতর। পুরুলিয়া ডিভিশনের বনাধিকারিক অজয়কুমার দাস বলেন, “অবৈধ কাঠকলগুলিকে আগেই বলা হয়েছিল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। কাজ না হওয়ায় অভিযান চালাতে হয়েছে। এ দিন বলরামপুরে ৫টি অবৈধ কাঠকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০টি কাঠকয়লার ভাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি। জেলা জুড়েই এই অভিযান চালানো হবে।” পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন
বাঁকুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় রবিবার পালিত হল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। বাঁকুড়ার জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অন্তরা আচার্য-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গোলপার্ক এলাকায় এ দিন সকালে গাছ লাগান। সরকারি হোমের আবাসিক বালিকা ও কিশোরীরা গান, গীতি আলেখ্য’র মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করে। গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে, সতীঘাটে পরিবেশ সচেতনা মূলক সভা করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবী পালিত বলেন, “গন্ধেশ্বরী নদী সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করা হচ্ছে। বাঁকুড়াবাসীর স্বার্থে এই নদীটিকে বাঁচানো খুবই দরকার।” চাঁদমারিডাঙায় একটি বেসরকারি স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা কচি হাতে চারাগাছ লাগায়। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ও অভিভাবকরা তাদের উৎসাহ দেন। জেলার অন্যান্য এলাকাতেও এই উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান হয়।


বনগাঁয় পদযাত্রা
নিজস্ব চিত্র।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে শহরে একটি পদযাত্রার আয়োজন করল বনগাঁর ‘গ্রিন ওয়েভ’ সংস্থা। গাছ, প্ল্যাকার্ড-সহ পদযাত্রায় যোগ দেন ১৬৫ জন। বাটার মোড়ে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের হাতে একটি গাছের চারা তুলে দেন সংস্থার সম্পাদক সুভদ্রা বিশ্বাস। মিছিলে প্ল্যাকার্ডগুলিতে প্লাস্টিক বর্জন ও সিংহকে বাঁচানোর আবেদন জানানো হয়। সংস্থার তরফে ধৃতিমান বিশ্বাস বলেন, “আগামী ১৪-২০ জুলাই জণগনের মধ্যে ৫০০০ গাছের চারা বিতরণ করা হবে। এ দিনও চারা বিতরণ হয়েছে।”


বিশ্ব পরিবেশ দিবস
পরিবেশ দিবসে পরমাণু চুল্লির বিরোধিতা। কাঁথিতে সুব্রত গুহের ছবি।
রবিবার, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিঘায় সৈকত সাফাই অভিযানের আয়োজন করা হয়েছিল। জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা, রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস উপস্থিত ছিলেন। নানা অনুষ্ঠান হয় কাঁথিতেও। শহরের উপকণ্ঠে হরিপুরে পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের বিরুদ্ধে কাঁথি সায়েন্স সেন্টার পরমাণু চুল্লি বিরোধী শোভাযাত্রা ও পথসভা করে। সকালে বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের মূর্তির পাদদেশ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে  শহর পরিক্রমা করে। ক্যানেল পাড়ে পথসভায় চেরনোবিল-সহ বিশ্বের নানা প্রান্তে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণের ভয়াবহতা তুলে ধরেন বক্তারা। ছিলেন সেন্টারের সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়, সহ-সভাপতি অভীক দত্ত, অনুপ মাইতি প্রমুখ।
Previous Story Jibjagat Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.