টুকরো খবর


পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু, অবরোধ মুম্বই রোড
রবিবার দুপুরে হাওড়ায় দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭ জন। দুর্ঘটনার জেরে এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা মুম্বই রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুপুর ১টা নাগাদ সাঁকরাইলের আলমপুর মোড়ের কাছে ট্রাকের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর নাম প্রবীর বিশ্বাস (৫২)। বাড়ি আন্দুলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীরবাবু আলমপুর মোড়ের কাছে মুম্বই রোড পার হচ্ছিলেন। সে সময়ে একটি মোটর বাইক তাঁকে ধাক্কা মারে। তিনি ছিটকে রাস্তার উপরে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে কোলাঘাটমুখী একটি মিনি ট্রাক তাঁর মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রবীরবাবুর। স্থানীয় বাসিন্দারা মুম্বই রোড অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, আলমপুর মোড়ে সব সময় ট্রাফিক পুলিশ রাখতে হবে। জেলার পদস্থ পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ ওঠে। অন্য দিকে, দুপুর দেড়টা নাগাদ উলুবেড়িয়ার তুলসীবেড়িয়া মোড়ের কাছে একটি ট্রেকারের সঙ্গে গাড়ির সংঘর্ষে ৭ জন আহত হন। পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার চৌখালি গ্রাম থেকে ট্রেকারে চেপে একটি বরযাত্রী-দল আসছিল। তাঁদের উলুবেড়িয়ার পারিজাতে যাওয়ার কথা। তুলসীবেড়িয়া মোড়ে ট্রেকারটি যখন ওটি রোডে উঠছিল সে সময়ে মুম্বই রোড ধরে আসা একটি গাড়ি ট্রেকারটিকে ধাক্কা মারে। ট্রেকারটি পাশের নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। ছ’জন বরযাত্রী এবং গাড়ির এক আরোহী আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ঘুরে যান উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পুলক রায়।


গোঘাটে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অপমৃত্যু
শনিবারই ফল বেরিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিকের। পদার্থবিদ্যায় অকৃতকার্য হয় গোঘাটের তারাহাট গ্রামের বাসিন্দা সুদেষ্ণা ঘোষ (১৮)। ওই দিনই মারা যান তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় মানসিক অবসাদে বিষ খেয়েছেন তিনি। ওই দিন দুপুরে তাকে প্রথমে কামারপুকুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী পড়াশোনায় খারাপ ছিলেন না। মাধ্যমিক পরীক্ষায় তিনি তারাহাট হাইস্কুল থেকে ৫৯৫ নম্বর পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে গোঘাট হাইস্কুলে ভর্তি হয়। গত বছর তাঁর উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবং ভাল ফলের আশায় পরীক্ষা দেননি। সুদেষ্ণার বাবা, পেশায় ব্যবসায়ী শান্তিনাথ ঘোষ বলেন, “এক বছর ড্রপ দেওয়ার পর গতকাল ফলাফল জানার পর মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। মার্কশিটও আনতে যায়নি। আমরা অনেক অনেক বুঝিয়েছি। ভাবতে পারিনি ও এমনটা করবে।” গোঘাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ছাত্রীর এই অপমৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। গত বছর পরীক্ষা দেয়নি ভাল ফলের আশায়। এ বার পদার্থবিদ্যায় পাস করতে না পারায় ভেঙে পড়ল।”


ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান চুঁচুড়ার মৌবনি

নিজস্ব চিত্র।
উচ্চ মাধ্যমিকে এ বছর হুগলি জেলায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন ত্রিবেণীর মৌবনি রায়। ত্রিবেণী থার্মাল ডঃ বিধানচন্দ্র রায় উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মৌবনি পেয়েছে ৪৬৬। মৌবনির বাবা মলয় রায় ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ারের কর্মী। বদলির চাকুরি হলেও মেয়ের পড়াশোনা যাতে কোনও রকম ব্যাঘাত না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন। সে দিকে নজর রাখতেন মৌবনির মা শান্তাদেবীও। শনিবার পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর থেকে ব্যান্ডেল থার্মাল পাওয়ার আবাসনের তিন তলায় মৌবনিদের বাড়িতে একে একে ভিড় জমাতে শুরু করেন
প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন। কৃতী এই ছাত্রীর প্রত্যেক বিষয়ের জন্য এক জন করে গৃহশিক্ষক ছিলেন। তাঁদের সাহায্য ‘অতুলনীয়’ বলে মন্তব্য করেন মৌবনি।


বাস উল্টে জখম ১২
বরযাত্রীর বাস উল্টে জখম হলেন ১২ জন। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের চন্দ্রবানে। আহতদের মধ্যে ১১ বছরের শেখ সাহাবুদ্দিন এবং বছর চল্লিশের শেখ সরিফুলকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় দক্ষিণ নারায়ণপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। সরিফুলকে পরে পাঠানো হয়েছে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে।


সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
ছবিটি তুলেছেন উদিত সিংহ।
খানাকুলের উদনা গ্রামে শনিবার সিপিএম নেতা হারাধন পাকিরার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রবিবার দুপুরে হারাধনবাবু বলেন, “আমি তিল খেতে কাজ করছিলাম। হঠাৎ তৃণমূলের কিছু লোকজন হামলা করে। কাঠের পাল্লা দিয়ে বেধড়ক মারে। আমি জ্ঞান হারাই।” হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হারধনবাবুর হাতে-পায়ে মোট ৮ জায়গায় হাড় ভেঙেছে। মাথাতেও চোট আছে। স্ক্যান করানো হবে। এ দিন হাসপাতালে এসেছিলেন হারাধনবাবুর দুই আত্মীয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দু’জন বলেন, “গ্রামের যা পরিস্থিতি, আর থাকা যাচ্ছে না। আজই বাড়ির মেয়েদের গ্রামের বাইরে পাঠিয়ে দেব ভাবছি।”


গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু
কারখানার লোহার ছাঁট কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার বিকেলে, ব্যাঁটরা থানার ইছাপুরের কাছে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডে। পুলিশ জানায়, মৃত রঞ্জন চক্রবর্তীর (২১) বাড়ি হাওড়ার ইছাপুরে। হাওড়ারই এক চোখের ডাক্তারের গাড়ির চালক ছিলেন রঞ্জন। গাড়ি চালানোর পাশাপাশি ওই যুবক লোহার ছাঁট অর্থাৎ বাবরি কেনাবেচার ব্যবসাও করতেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ ওই যুবক বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। তখনই ড্রেনেজ ক্যানাল রোডে আনন্দময়ী আশ্রমের কাছে ছ’সাত জন দুষ্কৃতী রঞ্জনকে ঘিরে ধরে তাঁর মাথায় ও বুকে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন রঞ্জন। স্থানীয় বাসিন্দারা এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, কারখানা থেকে বাবরি তোলাকে কেন্দ্র করে এই খুন।
Previous Story South Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.