আমাদের চিঠি |
|
ঐতিহ্যের সংরক্ষণ প্রয়োজন |
বধর্মান শহর রাঢ় বঙ্গের অন্যতম এক ইতিহাস-বিজড়িত, স্থাপত্য-সমৃদ্ধ স্থান। এই শহরের বাদশাহি নাম ছিল শরিফাবাদ। ইতিহাস গবেষকদের কাছে এই শহরে বহু তথ্যের খোরাক এদিক-ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে। উল্লেখযোগ্য সমাধিগুলি হল হজরত পির বাহরামের মাজার, শের আফগানের কবর, মহাসাধক যোগী জয়পালের সমাধি। তবে এই প্রতিবেদনের সঙ্গে যে ছবিটি দেখা যাচ্ছে সেটি হল ইতিহাস-অনালোচিত ‘মসজিদ-ই-হুমায়ুন’। বর্ধমান জেলার অন্যতম প্রাচীন ‘টিকরহাট মাদ্রাসা দারুল উলুম’ (১৯৪০) সীমানার মধ্যে এই মোগল স্থাপত্যটি অক্ষত রয়েছে আজও। এই মসজিদটি সম্পর্কে সে রকম তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এক শ্বেত-প্রস্তর নির্মিত ফলক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। আরবিতে লিখিত এই প্রস্তরখণ্ড থেকে এটা জানা যাচ্ছে মসজিদটা ‘হুমায়ুন মসজিদ’ নামে পরিচিত এবং আরবি সন বা হিজরি ১১৭৩-এ নির্মিত। হুমায়ুন একবার বঙ্গদেশের গৌড়ে এসেছিলেন। তবে বর্ধমান শহরে আগমনের সময় ও কারণ যথার্থ ভাবে জানা যায় না। কথিত আছে, হুমায়ুনের দুই ভাই অর্থাৎ মির্জা আসকারি ও কামরান একবার এখানে আসেন। বর্ধমান শহরের পশ্চিম প্রান্তে হুমায়ুন ভ্রাতাদ্বয় অমুসলিম অধ্যুষিত টিকরহাটে ‘মসজিদে হুমায়ুন’ নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। |
|
মসজিদ-ই-হুমায়ুন। টিকরহাট, বর্ধমান। |
বর্তমানে এই মোঘল স্থাপত্যটি অবহেলার শিকার। মসজিদটির সম্মুখভাগ টিকরহাট মহল্লাবাসীর উদ্যোগে কিছুটা পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত। মসজিদটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, ভূমি থেকে অনেকটা উঁচুতে; উপরে উঠতে হলে ১৮-২০টি সিঁড়ি ভাঙতে হয়। |
এ এস এম সালাহ্উদ্দিন। খাগড়াগড়, রাজবাটী, বর্ধমান |
|
বাঁকুড়ায় জল-সংকট |
গরম পড়তে-না-পড়তেই তীব্র জল-সংকট শুরু হয়েছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন ব্লকে। রাঙামাটির জেলা এই বাঁকুড়ায় এই জল-সংকটের জন্য নাজেহার বাঁকুড়ার মানুষ। বাঁকুড়া শহরে যে-সমস্ত বাড়িতে জলের কল আছে, সেই কলে জল পড়ে না বললেই চলে। যদিও অল্প সময়ের জন্য পড়ে, কোনও নির্দিষ্ট সময়ে জল আসে না। কখনও সকাল আটটায় বা কখনও পরের দিন রাত্রি আটটায়। দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না-হওয়া, জলাভূমি বুজিয়ে বড় বড় বাড়ি তৈরি করা এবং অবৈধ ভাবে ডিপ টিউবওয়েল খোঁড়ার জন্য পৌরসভা এলাকায় জলস্তর দিনের পর দিন নেমে যাচ্ছে। বাঁকুড়া শহরের দু’দিকে যে দুটি নদী আছে, সে দুটি ঠিক মতো সংস্কার না-করার জন্য গরমের সময় জল একেবারে থাকে না। সঠিক জল সংরক্ষণ না হলে জলের সংকট বেড়েই চলবে। যেখানে সেখানে গভীর নলকূপ খনন বন্ধ করার সরকারি নির্দেশ জারি করা প্রয়োজন। রাস্তায় যে-সব নলকূপ আছে, মানুষ যাতে সেখান থেকে সঠিক পরিমাণে জল পেতে পারেন, কর্তৃপক্ষকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। শহরের দুই পাশের দুটি নদী এবং শহরের জলাশয়গুলি সংস্কারের জন্য উপযুক্ত প্রশাসনিক উদ্যোগ প্রয়োজন। এতে জীবন-জীবিকা যেমন সহজ হবে, তেমনই পানীয় জলের সংকট অনেকটা কমানো সম্ভব হবে। |
বীরেন সরকার। অরবিন্দনগর, বাঁকুড়া |
|
রাস্তার দুরবস্থা |
চাঁপদানি পুরসভার অধীন জগদ্ধাত্রীতলা রোড বর্তমানে একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে রাস্তাটির সংস্কার হয়েছিল, কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই তা আবার খারাপ হয়ে যায়। কোনও রিকশা সে পথে যেতে চায় না, গেলেও ভাড়া চায় অনেক বেশি। এমনকী এই রাস্তায় হেঁটে চলাফেরা করাও দুষ্কর। এই রাস্তার ওপর অবস্থিত রবীন্দ্র মঞ্চ এবং ভদ্রেশ্বর ধর্মতলা স্কুল। তাই সাধারণ মানুষের স্বার্থে অবিলম্বে এই রাস্তাটির সংস্কার খুবই দরকার। |
কালীশঙ্কর মিত্র। পূর্বাচলপল্লি, ভদ্রেশ্বর, হুগলি |
|
সংশোধন |
আমাদের চিঠি-তে (৩০-৫) প্রকাশিত স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটের ছবিটি বিশ্বজিৎ গাইনের তোলা। |
|
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি, সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|