|
|
|
|
স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন, ধৃত স্বামী-শাশুড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²খানাকুল
|
গলার নলি কেটে, কুপিয়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নিহত বধূর শাশুড়িকেও পুলিশ ধরেছে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে খানাকুলের বালিপুরের গুছাইতপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’বছর আগে রিঙ্কু গুছাইতের (২৪) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ গুছাইতের। তাঁদের দুই মেয়ে আছে। কর্মসূত্রে রবীন্দ্রনাথবাবু থাকেন বিহারে। দেড়-দু’মাস ছাড়া বাড়ি ফিরে কয়েক দিন থাকেন তিনি। এ বার দিন পাঁচেক আগে ফিরেছিলেন। স্ত্রীকে নানা ভাবে সন্দেহ করতেন ওই ব্যক্তি।
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সমীর দাসের কাছে অভিযোগে বধূর কাকা পুড়শুড়ার ঘোলদিগরুই গ্রামের বাসিন্দা শম্ভুনাথ সামন্ত এবং অরবিন্দ সামন্ত জানান, স্ত্রীর উপরে মিথ্যা সন্দেহ করতেন জামাই। আবার শ্বশুর জহর গুছাইত নানা ভাবে উত্যক্ত করতেন বৌমা রিঙ্কুকে। মেয়ে প্রতিবাদ করাতেই বদনাম দেওয়া হয়। কান ভাঙাতেন রিঙ্কুর শাশুড়ি সন্ধ্যা। অন্য দিকে, রবীন্দ্রনাথের বিহারে পৃথক সংসার ছিল বলেও জানতে পেরেছেন বলে দাবি রিঙ্কুর বাপের বাড়ির লোকজনের।
তাঁরা জানান, এ সব নিয়ে সংসারে অশান্তি ছিল। শনিবারও গোলমাল হয়। খবর পেয়ে রিঙ্কুর বাপের বাড়ির লোকজন হাজির হন গুছাইতপাড়ায়। ফের অশান্তি হবে না বলে কথা দিয়েছিলেন রিঙ্কুর শ্বশুর বাড়ড়ির লোকজন। কিন্তু ওই রাতেই খুন করা হয় তাঁকে। পৃথক ভাবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন রিঙ্কুর কাকা অরবিন্দ সামন্ত। পুলিশ গ্রেফতার করে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর মা সন্ধ্যাকে। রিঙ্কুর শ্বশুর পলাতক।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানায়, ওই তরুণীর শ্বাসনালী কেটে ফেলা হয় পাট কাটার কাস্তে দিয়ে। এরপরে বুকে ও ঘাড়ে ছুরির কোপ মারা হয়। কোপ পড়ে বাঁ চোয়াল, পিঠ এবং দুই হাতের তালুতেও। পুলিশের দাবি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন রবীন্দ্রনাথ।
তাঁর বক্তব্য, স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে তাঁর যে সন্দেহ ছিল, শনিবার গণ্ডগোলের সময়ে সে কথার সত্যতা মেনে নেন রিঙ্কু। জানিয়ে দেন, স্বামীর ঘর করতে চান না তিনি। এ সব শুনে প্রচণ্ড ক্ষেপে যান রবীন্দ্রনাথ। গলার নলি কেটেও রাগ না কমায় স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপান তিনি। খুনের হাতিয়ার দু’টিই উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য। |
|
|
|
|
|