রূপনারায়ণের ভাঙন জীবিকার বদল ঘটিয়েছে বহু মানুষের
²
ল্যাণপুরে রূপনারায়ণ নদীর তীরে দীপামালিতা গ্রাম। প্রায় সব বাসিন্দাই চাষবাস করেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রূপনারায়ণের ভাঙনে এঁদের অনেকের চাষের জমি জলের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে।
নদীর চরেই বহু বছর ধরে এঁরা চাষবাস করতেন। কিন্তু সে সবই এখন অতীত। রূপনারায়ণের জল সরাসরি নদীর বাঁধে এসে ধাক্কা মারছে। আর তাতে নদীর বাঁধেও বিশাল বিশাল ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা এমনই, জমি-জমা সব খুইয়ে অনেকে পিতৃপুরুষের পেশা বদল করতেও বাধ্য হয়েছেন। কিছু চাষি ভ্যান চালাচ্ছেন। কেউ আবার দিনমজুরি করছেন। কেউ খুঁজে নিয়েছেন রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের পেশা।
ছবি: হিলটন ঘোষ।
এঁদের মধ্যে এক জন অনন্ত জানা বললেন, “আগে সারা বছর গোলা-ভরা ধান থাকত। কিন্তু এখন তো এক ছটাক জমিও অবশিষ্ট নেই। বাধ্য হয়ে ট্রলি ভ্যান চালাই। কোনও মতে বেঁচে আছি।” একই পরিস্থিতির শিকার দীপু দাস, বনমালি মাইতিদেরও। দীপুবাবু জমি হারিয়ে এখন ছোট্ট একটা মুদিখানা চালাচ্ছেন। বনমালিবাবু বললেন, “এই গ্রামে হাজার দেড়েক পরিবারের বাস। প্রত্যেকেরই জমি ছিল নদীর চরে। কিন্তু ধীরে ধীরে সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা আর দু’কিলোমিটার চওড়া নদীর চর জলে তলিয়ে যাওয়ায় গ্রামের মানুষের এই হাল। অনেক বাড়ির পুরুষ সদস্য কাজের খোঁজে গ্রাম ছেড়েছেন।”
এই সমস্যা প্রসঙ্গে আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রের দাবি, “আমি অনেকদিন ধরে সেচ দফতরের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি বোল্ডার দিয়ে পাকাপাকি ভাবে মেরামত করা না-হলে বাঁধ বলে আর কিছু থাকবে না। একই দাবি জানিয়ে আমি সেচ দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে কথা বলব।” সেচ দফতরের এক কর্তা জানান, ওই এলাকায় বাঁধ মেরামতির জন্য খুব শীঘ্র পরিকল্পনা করা হবে।
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.