|
|
|
|
শ্রমিক আন্দোলন শ্যামপুরের ইটভাটায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²শ্যামপুর
|
মজুরি, বোনাসের দাবিতে শ্রমিকদের একাংশ ধর্মঘট করায় একটি ইট ভাটার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুরের বালিজাতুরির ভবানীপুরে। শ্রমিকদের দাবি, তাঁরা সমস্যাটির কথা জানিয়েছিলেন শ্রম দফতরকে। কিন্তু এই দফতর থেকে তাঁদের দাবি মেটানোর জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার ফলেই তাঁরা ধর্মঘটে নামেন। অন্য দিকে, উলুবেড়িয়ার সহকারী শ্রম কমিশনার দেবজ্যোতি বসুর বক্তব্য, “শ্রমিকদের অভিযোগটি আমরা তদন্ত করে দেখব, এ কথাই আমরা তাঁদের জানিয়েছিলাম। আমি তদন্তের জন্য একজন আধিকারিককে দায়িত্ব দিয়েছি। তার আগেই শ্রমিকেরা ধর্মঘট করছেন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের কিছু করার নেই।”
ওই ভাটায় শ’খানেক শ্রমিক কাজ করেন। যে ১৭ জন শ্রমিক ধর্মঘট করছেন তাঁরা আইএনটিইউসি অনুমোদিত শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। সকলেই মাটি কাটার কাজ করেন। শনিবার থেকে তাঁরা ধর্মঘটে নেমেছেন। ইটভাটার গেটের সামনেই তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন। ফলে অন্যান্য বিভাগের শ্রমিকেরাও ভাটায় ঢুকতে পারছেন না। ভাটার চুল্লিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।এ বছর জানুয়ারি মাসে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানান শ্রমিকেরা। সে কথা মানেনি ভাটা কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছর উৎপাদন-ভিত্তিক বোনাস দেওয়া হত। এ বছর তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়। মজুরি এবং বোনাসের দাবিতে শ্রমিকেরা সহকারী শ্রম কমিশনার-সহ বিভিন্ন মহলে চিঠি দেন। আইএনটিইউসি অনুমোদিত ব্রিক ফিল্ড ওয়ার্কার্স কংগ্রেসের সম্পাদক মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, “১৭ শ্রমিকের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ আমানবিক আচরণ করছেন। দিনের পর দিন কাজ করেও তাঁরা মজুরি পাচ্ছেন না। প্রত্যেকের অবস্থা শোচনীয়। শ্রম দফতরকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। সেই কারণেই বাধ্য হয়ে ধর্মঘটের ডাক দিতে হয়েছে।”
ইটভাটার মালিক শেখ হাসেম আলির পাল্টা অভিযোগ, ওই শ্রমিকেরা কাজে ফাঁকি দিচ্ছিলেন। কাজ না-করেই তাঁরা পুরো মজুরি চাইছিলেন। তাঁর কথায়, “আমরা তাঁদের বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও তাঁরা জোর করে কাজ করছিলেন। এপ্রিল মাসে অ্যাড-হক হিসাবে মজুরির কিছু টাকা দিই। তাঁদের বলেছিলাম আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। পরে বাকি টাকা দেব। কিন্তু প্রায় কোনও কাজ না-করেই জোর করে বিপুল বকেয়া টাকার বোঝা তাঁরা আমাদের ঘাড়ে চাপান। অন্যদের কাজ করতে বাধা দেন। শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে আমাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আমরা তাঁদের কাছে সব কথা বলেছি।”
সহকারী শ্রম কমিশনার বলেন, “উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। তদন্তের সময় সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। তারই ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|