মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যে আগামী দিনেও জাপানের লগ্নি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন ভারতে জাপানি রাষ্ট্রদূত আকিতা সাইকি। বণিক মহলের মুখোমুখি হয়েও একই সুরে সাইকি সম্প্রতি জানালেন, নতুন সরকারের পরিকল্পনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জাপানি লগ্নিকারীরা। লগ্নির গন্তব্য নয়া সরকারের চাহিদার উপর নির্ভর করলেও পরিকাঠামো ক্ষেত্র যে জাপানের কাছে অগ্রাধিকার পাবে তা স্পষ্ট করে দেন তিনি।
তিন দিনের সফরে কলকাতায় এসে সম্প্রতি মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সিআইআই-এর সভায় শহরের বণিক মহলের মুখোমুখি হন সাইকি। রাজ্যের পট পরিবর্তন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সাইকি বণিকসভার মঞ্চে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘ভাইব্র্যান্ট’ পশ্চিমবঙ্গ গড়ে ওঠা নিয়ে আশা প্রকাশ করেন।
জাপানি বিনিয়োগই রাজ্যে এ পর্যন্ত বৃহত্তম বিদেশি লগ্নি। সাইকি বলেন, “নতুন সরকারের কাছেও রাজ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখানে আরও লগ্নি করতে চাই।” কোন কোন ক্ষেত্র নতুন সরকারের কাছে অগ্রাধিকার পায় তা স্থির করার জন্য তাদের অবশ্য কিছুটা সময় দিতে চান তাঁরা। তবে পরিকাঠামো ক্ষেত্র সম্পর্কে তাঁরা আগ্রহী। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে পরিকাঠামো নির্মাণে অনেক কাজ হলেও এখনও সুযোগ রয়েছে। যেমন রাস্তা, বন্দর, বিমানবন্দর, সেতুর মতো পরিকাঠামোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ, জল সরবরাহ ইত্যাদি পরিকাঠামো আরও উন্নত করার ব্যাপারে নয়া সরকার উদ্যোগী হবে বলে তাঁর আশা।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন পরিকাঠামো গড়তে জাপান ব্যাঙ্ক অফ ইনটারন্যাশনাল কোঅপারেশনের কাছে থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে রাজ্য। জাপানে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণের জেরে প্রভাব পড়েছে বব্যসা ও পযটন ক্ষেত্রেও। সাইকির দাবি, পরিস্থিতি এখন অনুকূল। পযর্টক, ব্যবসায়ী, পড়ুয়া প্রত্যকেই সে দেশে নিশ্চিন্তে যেতে পারেন। |