চলতি অর্থবর্ষে বাজারে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রি করে বিলগ্নিকরণ খাতে ৪০ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। যা পূরণের পথে হাঁটতে পিএফসি, সেল, ওএনজিসি ও হিন্দুস্তান কপারের সঙ্গে এ বছর বিলগ্নিকরণের তালিকায় ন্যাশনাল বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন (এনবিসিসি) ও রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম (আরআইএনএল)-কেও যুক্ত করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় বিলগ্নিকরণ দফতর সূত্রের খবর।
কিছু দিন আগেই দ্বিতীয় বার বাজারে শেয়ার ছেড়েছিল পাওয়ার ফিনান্স কর্পোরেশন (পিএফসি)। আগামী জুনে ফের বাজারে আসবে সেল-এর শেয়ার ও জুলাইয়ে ওএনজিসি-র। বাজারে বর্তমান শেয়ার দরের পরিপ্রেক্ষিতে সেল-এর বিলগ্নিকরণ থেকে ওঠার কথা প্রায় ৭,০০০-৮,০০০ কোটি টাকা। আর ওএনজিসি-র ৫% অংশীদারি বিক্রি করে ১৩ হাজার কোটিরও বেশি তোলার আশা কেন্দ্রের। এর পর নতুন খনি কিনতে লগ্নির পরিকল্পনা দ্রুত সম্পন্ন করে সম্ভবত বছরের শেষের দিকেই শেয়ার বিক্রি করবে হিন্দুস্তান কপার। আর ওই দ্বিতীয়ার্ধেই বাজারে এনবিসিসি ও আরআইএনএল-এর শেয়ারও ইস্যু করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
গত বছরও বাজারে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার শেয়ার বিক্রি করে ৪০ হাজার কোটি টাকা ঘরে তোলার লক্ষ্য স্থির করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তা অধরাই রয়ে গিয়েছে। তিনটি নতুন ও তিনটি দ্বিতীয় বারের জন্য শেয়ার ইস্যু থেকে ওঠে মোট ২২,৭৬২.৯৬ কোটি। তার পর চলতি ২০১১-’১২ অর্থবর্ষে ফের ৪০ হাজার কোটির ওই লক্ষ্য ছুঁতে কোমর বেঁধেছে সরকার। যা তাদের আগামী তিন বছরের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ৯৫ হাজার কোটি টাকার শেয়ার বিলগ্নিকরণ প্রস্তাবের একটি অংশ।
অন্য দিকে, আর্থিক সংস্কার ও উদার নীতির সৌজন্যে গত ১৯৯১-’৯২ সাল থেকেই প্রয়োজনে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় সরকারি মালিকানা কমানোর বিষয়টি মঞ্জুর হয়। কেন্দ্রীয় বিলগ্নিকরণ দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেই ১৯৯১-’৯২ থেকে শুরু করে বিলগ্নিকরণের অঙ্ক এই অর্থবর্ষেই এক লক্ষ কোটি টাকার মাইলফলক পেরোচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এত বছরের মধ্যে শুধুমাত্র ১৯৯৩-’৯৪, ২০০৬-’০৭ ও ২০০৮-’০৯ অর্থবর্ষে বিলগ্নিকরণ খাতে সরকারের ভাঁড়ার ছিল ফাঁকা। |