একশো দিনের কাজে দুর্নীতির প্রতিবাদে রবিবার সকালে বর্ধমান থানার তালিত গ্রামে বাঘাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রকল্প সচিব অজিতকুমার দাস ও সুপারভাইজার সাগর দাসকে আটক করেন গ্রামবাসী। তাঁরা দু’জন সিপিএম নেতা। তাঁদের সঙ্গে গ্রামের অপর এক সিপিএম নেতা নির্মল ভট্টাচার্যকেও আটকে রেখে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়ে তাঁদের সকলকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে স্থানীয় তৃণমূলর নেতা শ্রীচরণ ঘোষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই একশো দিনের প্রকল্পের হিসেব চাইছিলেন। এই গ্রামে প্রকল্পের নামে দলবাজি ও স্বজনপোষন চলছিল। কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হচ্ছিল না জব কার্ড হোল্ডারদের। এর জেরেই মানুষ ওই তিনজনকে দিয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে অবিলম্বে হিসেব দেওয়া ও আত্মসাৎ করা ২ লক্ষ টাকা ফেরত দেবেন বলে লিখিয়ে নেন।” তিন সিপিএম কর্মীকে আটকে রাখার খবর পেয়ে বর্ধমান থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেছে। তবে এই ব্যাপারে পুলিশের কর্তাদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিস সরকার বলেন, “ এরকম কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই।”সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ তা বলেন, “ওই গ্রামে আমাদের তিন কর্মীকে আটকে রেখে তাঁদের উপরে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও হয়েছে। তবে পুলিশ গ্রামে যেতেই আটককারীরা তাঁদের ছেড়ে দিয়েছে।” |
দুই বিধায়ককে শনিবার সংবর্ধনা দেওয়া হয় আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত বিদ্যুৎ দফতরের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে। উদ্যোক্তাদের তরফে কালনা শহরের প্রাথমিক কল্যাণ সমিতির ভবনে এ দিন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ও পূর্বস্থলী উত্তর থেকে নির্বাচিত তপন চট্টোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের মহকুমা সম্পাদক সুশান্ত সামন্ত বলেন, “ঝুঁকি নিয়ে এই দফতরের বহু কর্মীকে মাঠে মাঠে কাজ করতে হয়। আমরা তাঁদের সুরক্ষা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে ওই দুই বিধায়কের কাছে জানানো হয়েছে।” এ দিন সংগঠনের তরফে ২৫ জন সদস্যকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। |