|
|
|
|
ভাল ফল করে বাবার কথাই মনে পড়ছে সুমনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² কালনা |
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে বাবার মৃত্যু হয়। পড়াশোনা থেকে সব কিছুই দেখাশোনা করেছেন মা। উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৬৭ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বাবার কথাই বেশি মনে পড়ছে বলে জানায় কালনা মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সুমন চট্টোপাধ্যায়।
কালনা শহরেই একতলা বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকে সুমন। বাবা দেবকী চট্টোপাধ্যায়ের যখন মৃত্যু হয় সুমন তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। মা আলোদেবী স্বরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মাধ্যমিকে সুমন মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয় থেকেই ৭২৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। তার পরে নিজের স্কুলেই বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয় সে। সুমন জানায়, টেস্ট পরীক্ষায় সে ৪২২ নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু তাতে তার মন ভরেনি। ৪৫০ নম্বর পাওয়াই ছিল তার লক্ষ্য। কিন্তু শনিবার ফল বেরোনোর পরে দেখা যায়, তার থেকে কয়েক নম্বর বেশিই পেয়েছে সে। বাংলায় ৮৫, ইংরেজিতে ৯০, রসায়নে ৯৪, পদার্থবিদ্যায় ৯৮ এবং অঙ্কে ১০০ পেয়েছে সে। সকাল ১০টা নাগাদ সুমনের ভাল ফলের খবর মিলতেই তার স্কুলে ছিল খুশির হাওয়া। তড়িঘড়ি স্কুলে পৌঁছয় সুমনও। অসুস্থতা সত্ত্বেও খবর পেয়ে চলে আসেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “স্কুলে এর আগে উচ্চ মাধ্যমিকে এত ভাল ফল কেউ করেনি।” স্কুলের অন্য শিক্ষকদের মুখেও গর্বের হাসি। |
|
শুভেচ্ছা মহকুমাশাসকের। ছবি: কেদারনাথ ভট্টাচার্য। |
রবিবার দুপুরে সুমনের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানান কালনা মহকুমা মুখ্য তথ্য আধিকারিক তপন তরফদার। বিকেলে অভিনন্দন জানাতে যান মহকুমাশাসক সুমিতা বাগচি। নিজের বাড়িতে বসে সুমন জানায়, পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বইও পড়ত সে। ভবিষ্যতে সে রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় বলে জানায়। ছেলে ভাল ফল করায় আলোদেবীর ব্যস্ততার শেষ নেই। সকাল থেকেই তাঁর মোবাইল ফোন বেজে চলেছে। আনন্দের মধ্যেও তাঁর আক্ষেপ, “সুমনের বাবা আজ বেঁচে থাকলে খুব খুশি হতেন।” |
|
|
|
|
|